জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে জনি আক্তার নামের এক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। অবরুদ্ধ গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের বড় আদ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অসুস্থ ওই গৃহবধূকে জনি আক্তারকে (২০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার বড় আদ্রা গ্রামের মোফাজ্জল সরকারের ছেলে মোশারফ হোসেন অন্তরের সঙ্গে (২৮) একই গ্রামের জুবের আকন্দের মেয়ে জনি আক্তারের ৯ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই মোশারফ হোসেন অন্তরকে কৌশলে তার বাবা-মা ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। এরপর বিভিন্ন সময় শ্বশুর মোফাজ্জল সরকার ও শাশুড়ি মরিয়ম বেগম ছেলের অগোচরে পুত্রবধূর উপর যৌতুক দাবি ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা জনি আক্তার ২৯ অক্টোবর, বুধবার সন্ধায় অভিযোগ করে বলেন, প্রেম করে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের কয়েকদিন পর তার স্বামী মোশারফ হোসেন অন্তর তাকে বাড়িতে রেখে গা ঢাকা দেন। তার কোন খোঁজ খবর রাখেন না। এই সুযোগে শ্বশুর মোফাজ্জল সরকার ও শাশুড়ি মরিয়ম বেগম তার কাছে ১০ লাখ টাকার যৌতুক দাবি করেন। জনি আক্তারের পরিবার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করেন তারা।
নির্যাতিতার বাবা জুবের আকন্দ এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি গরিব কৃষক। এত টাকা যৌতুক দিতে না পারায় আমার মেয়ের উপর নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলতে থাকে। এমন কি শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা মিলে ইতোপূর্বে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বক্তব্য জানতে নির্যাতিতার শ্বশুর মোফাজ্জল সরকারের মুঠোফোনে কয়েকবার চেষ্টা কররে তিনি সাড়া দেননি।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্ম কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হাসান এ প্রতিবেদককে বলেন, গৃহবধূকে নির্যাতনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ গৃহবধূকে উদ্ধার করে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ব্যাপারে মামলা হলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মমিনুল ইসলাম কিসমত : নিজস্ব প্রতিবেদক, সরিষাবাড়ী, বাংলারচিঠিডটকম 

















