জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শামীম উল বাশারের বিরুদ্ধে অন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই ওই প্রধান শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।
২৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকালে কন্যাশিশুটিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ২৯ অক্টোবর, বুধবার দুপুরে উপজেলার গুঠাইল বাজার এলাকায়ে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ওই প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। ধর্ষণ মামলার আসামি মো. শামীম উল বাশার বেলগাছা ইউনিয়নের শিলদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ধর্ষণের শিকার ওই কন্যাশিশুটি গুঠাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৮ অক্টোবর সকালে ওই ছাত্রীকে বই ও চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যান প্রধান শিক্ষক মো. শামীম উল বাশার। পরে শিক্ষকের বাড়ির কাছেই স্থানীয় বাবু নামের এক ব্যক্তির একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন প্রধান শিক্ষক মো. শামীম উল বাশার। শিশুটি বাড়িতে গিয়ে প্রথমে তার মাকে বিষয়টি জানায়।
পরে অন্যদের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা থানায় গিয়ে ওইদিন রাতেই মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষক পলাতক রয়েছেন। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ২৯ অক্টোবর ইসলামপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রধান শিক্ষক মো. শামীম উল বাশারকে আসামি করে মামলা করেন।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই কন্যাশিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। শিশুটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হবে। আসামি প্রধান শিক্ষক মো. শামীম উল বাশারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এই আসামির বিরুদ্ধে আরও এক শিশুর সাথে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে বলে জানান ওসি।
লিয়াকত হোসাইন লায়ন : নিজস্ব প্রতিবেদক, ইসলামপুর, বাংলারচিঠিডটকম 

















