৩০ সেকেন্ডের মধ্যে হাত ধোয়ার ছয়টি কৌশল সরাসরি সুনিপুণভাবে শতাধিক বড়দের শেখালো শিশুরা। উপস্থিত এলাকাবাসী পাঁচ বছর বয়সী এসব শিশুদের হাত ধোয়ার বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি দেখে অভিভূত হন। তারা সঠিক নিয়মে হাত ধোয়ার অঙ্গীকারও করেন।
এবারে হাত ধোয়া দিবসের সরকারিভাবে প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে ‘হাত ধোয়ার নায়ক হোন’ আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারণ করেছে ‘জীবন বাঁচান, হাত পরিষ্কারর করুন।’
১৫ অক্টোবর বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে উন্নয়ন সংঘের সিডস কর্মসূচির আওতায় একযোগে ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও সদর উপজেলার গ্রামপর্যায়ে উৎসবমুখর পরিবেশে হাত ধোয়া দিবস উদযাপন করে। এ উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নে দক্ষিণ বাটিকামারী গ্রামে সিডস কর্মসূচির প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা থেকে আগত ডেভরেসোনান্স সংস্থার প্রধান নির্বাহী নাজমে সাবিনা, পলবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নূর ইসলাম, মিনা বেগম , উন্নয়ন সংঘের সিডা কর্মসূচির মনিটরিং অফিসার মনিরুজ্জামান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সায়েদুল ইসলাম, কৃষিবিদ মজিদুল হক, উপজেলা সমন্বয়কারী রবিউল এমরান প্রমুখ।
বক্তারা হাত না ধোয়ার কুফল এবং হাত ধোয়ার সুফল সম্পর্কে বিশ্লেষণমূলক আলোচনা করেন। একই সাথে চলমান টায়ফয়েড ক্যাম্পেইনে সবাইকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮ জন শিশু শিক্ষার্থী একে একে হাত ধোয়া প্রদর্শনীতে অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত, সিডস কর্মসূচির আওতায় ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও জামালপুর সদর উপজেলায় ২৬টি প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তিনটি ব্রিজ স্কুলে ৫৮০ জন শিশু, অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তি, জন প্রতিনিধি, শিক্ষক, ইমাম এবং এনজিও প্রতিনিধিসহ দুই হাজারের অধিক মানুষ অংশ নেন। হাত ধোয়া অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সবাই সঠিক নিয়মে হাত ধোয়াসহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা করবেন বলে অঙ্গীকার করেন।