ঢাকা ০২:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সরিষাবাড়ীতে পিটিয়ে বাগডাশ হত্যা

সরিষাবাড়ী : পিটিয়ে হত্যার পর বাগডাশকে গাছে ঝুলিয়ে রাখে। পরে ঝিনাই নদে ফেলে দেয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটক

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় বিলুপ্তপ্রায় একটি বাগডাশকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ডোয়াইল পশ্চিমপাড়া সোনাতলা বিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডোয়াইল পশ্চিমপাড়া গ্রামের রসুল মিয়ার ছেলে আব্দুল গণি। তিনি ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ির পাশে সোনাতলা বিলে ধান ক্ষেতের কাজ করতে যায়। এ সময় পাশের ধানক্ষেত থেকে একটি বাগডাশ দৌড়ে এসে তার হাতে কামড়ে দেয়। পরে তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্দুল গণিকে উদ্ধার করে। এ সময় আক্রমণ করা বাগডাশকে আটকিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে স্থানীয়রা।

উৎসুক জনতা ভিড় করলে পরে পাশের ঝিনাই নদে ভাসিয়ে দেয় বাগডাশটিকে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মনে আতংক বিরাজ করছে।

আহত আব্দুল গণির ছেলে ফয়সাল মিয়া জানান, সকালে তার বাবা ধানক্ষেতে কাজ করতে যান। এ সময় দৌড়ে এসে একটি বাগডাশ তার বাবার বাম হতে কামড় দেয়। পরে বাগডাশটি মেরে ঝিনাই নদে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। তার বাবাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে শেরপুর ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার এ প্রতিবেদককে বলেন, দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকায় বিষয়টি জানতে পারিনি। এভাবে বন্যপ্রাণীদের হত্যা করা ঠিক হয়নি। তবে এ বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার।

জনপ্রিয় সংবাদ

সরিষাবাড়ীতে পিটিয়ে বাগডাশ হত্যা

সরিষাবাড়ীতে পিটিয়ে বাগডাশ হত্যা

আপডেট সময় ১০:৫৪:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় বিলুপ্তপ্রায় একটি বাগডাশকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ডোয়াইল পশ্চিমপাড়া সোনাতলা বিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডোয়াইল পশ্চিমপাড়া গ্রামের রসুল মিয়ার ছেলে আব্দুল গণি। তিনি ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ির পাশে সোনাতলা বিলে ধান ক্ষেতের কাজ করতে যায়। এ সময় পাশের ধানক্ষেত থেকে একটি বাগডাশ দৌড়ে এসে তার হাতে কামড়ে দেয়। পরে তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্দুল গণিকে উদ্ধার করে। এ সময় আক্রমণ করা বাগডাশকে আটকিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে স্থানীয়রা।

উৎসুক জনতা ভিড় করলে পরে পাশের ঝিনাই নদে ভাসিয়ে দেয় বাগডাশটিকে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মনে আতংক বিরাজ করছে।

আহত আব্দুল গণির ছেলে ফয়সাল মিয়া জানান, সকালে তার বাবা ধানক্ষেতে কাজ করতে যান। এ সময় দৌড়ে এসে একটি বাগডাশ তার বাবার বাম হতে কামড় দেয়। পরে বাগডাশটি মেরে ঝিনাই নদে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। তার বাবাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে শেরপুর ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার এ প্রতিবেদককে বলেন, দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকায় বিষয়টি জানতে পারিনি। এভাবে বন্যপ্রাণীদের হত্যা করা ঠিক হয়নি। তবে এ বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার।