জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বাশবাড়ী গ্রামে মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে স্ত্রী ঋতু পর্ণাকে (২০) দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে তার স্বামী মুকুল মিয়া। ১০ আগস্ট, রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঋতু পর্ণার বাবা জামাল ভুটু বাদী হয়ে নির্যাতনকারী মুকুল মিয়াকে আসামি করে থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ, ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রীকে নির্যাতনকারী মুকুল মিয়া সরিষাবাড়ী উপজেলার বাউসী উত্তরপাড়া গ্রামের ছইঞ্চা মিয়ার ছেলে। আট বছর আগে তিনি উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বাশবাড়ী গ্রামের জামাল ভুট্টুর মেয়ে ঋতু পর্ণাকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ছয় বছর বয়সের এক সন্তান রয়েছে। সংসারে স্বচ্ছলতার জন্য স্বামী-স্ত্রী উভয়েই রাজধানী ঢাকায় একটি পোশাক কারখানার চাকরি নেন। এরপর থেকেই মুকুল মিয়া মাদকাসক্ত হওয়ায় মাঝে মধ্যেই স্ত্রী ঋতু পর্ণাকে শারীরিক নির্যাতন করেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সম্প্রতি ঋতু পর্ণা তার বাবার বাড়িতে চলে যান।
এদিকে ১০ আগস্ট রবিবার দুপুরে হঠাৎ মুকুল মিয়া শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে স্ত্রীর কাছে মোবাইল ফোন চান। ফোন দিতে অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক বাঁধে। একপর্যায়ে ঘরে থাকা বটি দিয়ে স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাথা, কান ও হাত রক্তাক্ত করে গুরুতর আহত করেন। ঋতু পর্ণার ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করান।
এদিকে স্থানীয়রা নির্যাতনকারী মুকুল মিয়াকে আটক করলেও স্থানীয় সুলতান মিয়া নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন বলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সরিষাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হাসান (রাশেদ) এ প্রতিবেদককে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। নির্যাতনকারী মুকুল মিয়া পালিয়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তাকে পায়নি। নির্যাতিতা ওই নারীর বাবার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত ও অন্যান্য আইনি বিষয় প্রক্রিয়াধীন।