বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং এর উপেযোগিতা নিয়ে নিয়মিত পুরো জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় চষে বেড়াচ্ছেন শিক্ষা উদ্যোক্তা, সমাজসেবক ও তরুণ রাজনীতিবিদ শরিফুল ইসলাম খান ফরহাদ।
চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল, শনিবার ইসলামপুর উপজেলায় সর্বপ্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে এই ৩১ দফা কর্মসূচির প্রচারণা শুরু করেন ফরহাদ খান। উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের মলমগঞ্জ মডেল কলেজ প্রাঙ্গণে সব ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সেদিন তিনি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় জায়ান্ট স্ক্রিনে ৩১ দফা কর্মসূচির চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এই রাজনৈতিক দর্শন সম্পর্কে সচেতন করেন।
এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে তিনি ছুটছেন বিএনপির কর্মসূচি ও রাজনৈতিক প্রচারণা নিয়ে। উপজেলার কুলকান্দি, চিনাডুলী, পচাবহলা, গোয়ালেরচর, চরপুটিমারী, ডেংগারগড়, পাথর্শী, ইসলামপুর সদর, উলিয়াসহ বেশিভাগ এলাকাতেই তিনি রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রচারণার কাজ শেষ করেছেন।
তাছাড়া জাতীয় দিবসগুলোতেও দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী নানান কর্মসূচি নিয়ে ইসলামপুরের আপামর জনতার কাতারে মিশে যাচ্ছেন ফরহাদ খান। বয়সে তরুণ, উচ্চ শিক্ষা, সততা এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় তিনি এখন ইসলামপুরের রাজনীতির মাঠে ক্লিন ইমেজের নেতা হিসাবে দারুণ পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি তরুণদের নিয়ে খেলাধুলাসহ নানান ইতিবাচক কাজ করছেন। আবার বয়োজ্যষ্ঠদের সঙ্গেও বাস্তবতা অনুযায়ী বিভিন্ন সামাজিক কাজে এগিয়ে যাচ্ছেন।
তাই ইসলামপুর উপজেলার সর্বত্র এখন শরিফুল ইসলাম খান ফরহাদ সজ্জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিনত হয়েছেন। আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাও রয়েছে তার। সেই লক্ষ্য নিয়েই সম্প্রতি লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইসলামপুরে রাজনীতির সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করেছেন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা নিয়ে আবার মাঠে ফিরেছেন ফরহাদ খান।
রাজনীতি প্রসঙ্গে শরিফুল ইসলাম খান ফরহাদ বলেন, আমাদের ইসলামপুরের মধ্যে দুটি নদী প্রবাহিত। তাই নদী ভাঙনের কারণে মানুষের দুর্দশার শেষ নাই। যে কারণে দারিদ্রতাও বেশি। আর শিক্ষার হারও দেশের অন্য এলাকার তুলনায় কম। এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে মানুষের কষ্ট কমানোর জন্য কাজ শুরু করেছি। এখন করছি ব্যক্তিগত চেষ্টায়। এলাকার মানুষ যদি ভোটের মাধ্যমে আমাকে সংসদে যাওয়ার সুযোগ দেন, তাহলে পুরো পরিকল্পনাগুলোই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এর আগে অনেকেই ভোট নিয়ে সংসদে গিয়েছিলেন। তারা কেউই উপজেলার মানুষের আসল সমস্যাগুলোর দিকে মনোনিবেশ করেন নাই। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করছি। ইনশাল্লাহ ক্ষমতায় গেলে ইসলামপুর হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে আধুনিক একটি উপজেলা।
 
																			 
																		 
										 নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলারচিঠিডটকম
																নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলারচিঠিডটকম								 


















