ঢাকা ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল : শামীম তালুকদার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবিতে জামালপুরে মানববন্ধন শেরপুরে পাখি শিকারির কারাদন্ড বকশীগঞ্জে বিদ্যালয়ে আকস্মিক পরিদর্শনে ইউএনও, দিলেন দিকনির্দেশনা টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন : শেরপুরে লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৮৩ হাজার শিশু ইসলামপুর উন্নয়ন কমিটির অর্থায়নে আনজুমান বেগমের দেহে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন মাদারগঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত মাদারগঞ্জে ছাগল ও চেক বিতরণ বিশ্ব ডাক দিবস আজ : লাল ডাকবাক্সে নেই চিঠি, স্মৃতি ডাকপিয়নের ঘণ্টাধ্বনি বকশীগঞ্জে মাদকব্যবসায়ী ছিনতাই, দুই পুলিশ আহত, আটক ৪

বাংলাদেশে এখন একটা জগাখিচুড়ি ঘটনা চলছে : মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত

আনুপাতিক হারে নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশে এখন একটা জগাখিচুড়ি ঘটনা চলছে। কিছু লোক, কিছু রাজনৈতিক দল বিভিন্ন রকম কথা বলতে শুরু করেছে এবং যে বিষয়গুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্কই নেই। তারা জোর গলায় সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা বলছে। অথচ আমাদের সাধারণ মানুষ বুঝেই না যে, আনুপাতিক হারে নির্বাচনটা কী। জনগণ জানে, একজন প্রার্থী থাকবে, একটা মার্কা থাকবে। তারা সেখানে ভোট দেবে। সাধারণ মানুষ এলাকায় একজন নেতা চায়, প্রতিনিধি চায়। তাদের কাজ করার জন্য একজন নেতৃত্ব খুঁজে। সেটা কোনো মতেই এই পদ্ধতিতে সম্ভব হবে না।

২৬ জুলাই, শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার পতন ও জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে বর্ষপূর্তি : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার করে দেবে- এমনটা ভাবার সুযোগ নেই এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অনেকেই মনে করছেন, কয়েকজন লোক, সংস্কার যারা করছেন, তারা কতগুলো বৈঠক করে, সংস্কার করে জনগণকে এগিয়ে দিলেন, আর সংস্কার হয়ে গেল- এভাবে সংস্কার হয় না। সংস্কার হতে হবে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। কয়েকজন ব্যক্তিকে বিদেশ থেকে ভাড়া করে এনে দেশ চালানো যায় না। এই সহজ-সরল কথাটা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে এখন একটা জগাখিচুড়ি ঘটনা চলছে। কিছু লোক, কিছু রাজনৈতিক দল বিভিন্ন রকম কথা বলতে শুরু করেছে এবং যে বিষয়গুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্কই নেই। তারা জোর গলায় সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা বলছে। অথচ আমাদের সাধারণ মানুষ বুঝেই না যে, আনুপাতিক হারে নির্বাচনটা কী। জনগণ জানে, একজন প্রার্থী থাকবে, একটা মার্কা থাকবে। তারা সেখানে ভোট দেবে। সাধারণ মানুষ এলাকায় একজন নেতা চায়, প্রতিনিধি চায়। তাদের কাজ করার জন্য একজন নেতৃত্ব খুঁজে। সেটা কোনো মতেই এই পদ্ধতিতে সম্ভব হবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কার রাতারাতি সম্ভব না। কতগুলো বৈঠক করে সংস্কারের বিষয় নিয়ে জনগণকে দিলেন আর সংস্কার হয়ে গেল- সেভাবে সংস্কার হয় না। সংস্কার হতে হবে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আপনি চাইলেন আর কালকেই পুলিশ ঘুস খাওয়া বন্ধ করে দেবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। কাঠামো তৈরি করতে হবে এমনভাবে, যাতে সে ঘুস না খায়।

তিনি বলেন, একইভাবে আমলাতন্ত্র আমাদের উন্নয়নের পথে একটা বড় বাধা। নেগেটিভ ব্যুরোক্রেসিকে (অদক্ষ আমলাতন্ত্র) এখন পজিটিভ ব্যুরোক্রেসি করতে হলে যা যা করা দরকার সেই সংস্কার করতে হবে। মূল কাজ হচ্ছে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ গোটা জাতি একটা ক্রান্তিকালে পৌঁছেছে। একটা ভয়াবহ সংকট উপস্থিত হয়েছে। রাজনৈতিক শূন্যতা এবং অর্থনৈতিক বিরূপ একটা প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে একটা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো নির্মাণ করতে হবে। এখন আমরা গণতন্ত্র উত্তরণের একটা পথ খুঁজছি। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের যে ক্ষতিটা করে গেছে সেই ক্ষতিটা পূরণ এতো সহজে হবে না। তারা সমস্ত প্রতিষ্ঠাগুলোকে ধ্বংস করেছে। তারা রাজনৈতিক দলগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক মজিবুর রহমান হাওলাদার, আবদুল্লাহ হিল মাসুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল : শামীম তালুকদার

বাংলাদেশে এখন একটা জগাখিচুড়ি ঘটনা চলছে : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৯:৫৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

আনুপাতিক হারে নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশে এখন একটা জগাখিচুড়ি ঘটনা চলছে। কিছু লোক, কিছু রাজনৈতিক দল বিভিন্ন রকম কথা বলতে শুরু করেছে এবং যে বিষয়গুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্কই নেই। তারা জোর গলায় সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা বলছে। অথচ আমাদের সাধারণ মানুষ বুঝেই না যে, আনুপাতিক হারে নির্বাচনটা কী। জনগণ জানে, একজন প্রার্থী থাকবে, একটা মার্কা থাকবে। তারা সেখানে ভোট দেবে। সাধারণ মানুষ এলাকায় একজন নেতা চায়, প্রতিনিধি চায়। তাদের কাজ করার জন্য একজন নেতৃত্ব খুঁজে। সেটা কোনো মতেই এই পদ্ধতিতে সম্ভব হবে না।

২৬ জুলাই, শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার পতন ও জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে বর্ষপূর্তি : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার করে দেবে- এমনটা ভাবার সুযোগ নেই এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অনেকেই মনে করছেন, কয়েকজন লোক, সংস্কার যারা করছেন, তারা কতগুলো বৈঠক করে, সংস্কার করে জনগণকে এগিয়ে দিলেন, আর সংস্কার হয়ে গেল- এভাবে সংস্কার হয় না। সংস্কার হতে হবে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। কয়েকজন ব্যক্তিকে বিদেশ থেকে ভাড়া করে এনে দেশ চালানো যায় না। এই সহজ-সরল কথাটা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে এখন একটা জগাখিচুড়ি ঘটনা চলছে। কিছু লোক, কিছু রাজনৈতিক দল বিভিন্ন রকম কথা বলতে শুরু করেছে এবং যে বিষয়গুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্কই নেই। তারা জোর গলায় সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা বলছে। অথচ আমাদের সাধারণ মানুষ বুঝেই না যে, আনুপাতিক হারে নির্বাচনটা কী। জনগণ জানে, একজন প্রার্থী থাকবে, একটা মার্কা থাকবে। তারা সেখানে ভোট দেবে। সাধারণ মানুষ এলাকায় একজন নেতা চায়, প্রতিনিধি চায়। তাদের কাজ করার জন্য একজন নেতৃত্ব খুঁজে। সেটা কোনো মতেই এই পদ্ধতিতে সম্ভব হবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কার রাতারাতি সম্ভব না। কতগুলো বৈঠক করে সংস্কারের বিষয় নিয়ে জনগণকে দিলেন আর সংস্কার হয়ে গেল- সেভাবে সংস্কার হয় না। সংস্কার হতে হবে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আপনি চাইলেন আর কালকেই পুলিশ ঘুস খাওয়া বন্ধ করে দেবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। কাঠামো তৈরি করতে হবে এমনভাবে, যাতে সে ঘুস না খায়।

তিনি বলেন, একইভাবে আমলাতন্ত্র আমাদের উন্নয়নের পথে একটা বড় বাধা। নেগেটিভ ব্যুরোক্রেসিকে (অদক্ষ আমলাতন্ত্র) এখন পজিটিভ ব্যুরোক্রেসি করতে হলে যা যা করা দরকার সেই সংস্কার করতে হবে। মূল কাজ হচ্ছে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ গোটা জাতি একটা ক্রান্তিকালে পৌঁছেছে। একটা ভয়াবহ সংকট উপস্থিত হয়েছে। রাজনৈতিক শূন্যতা এবং অর্থনৈতিক বিরূপ একটা প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে একটা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো নির্মাণ করতে হবে। এখন আমরা গণতন্ত্র উত্তরণের একটা পথ খুঁজছি। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের যে ক্ষতিটা করে গেছে সেই ক্ষতিটা পূরণ এতো সহজে হবে না। তারা সমস্ত প্রতিষ্ঠাগুলোকে ধ্বংস করেছে। তারা রাজনৈতিক দলগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক মজিবুর রহমান হাওলাদার, আবদুল্লাহ হিল মাসুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।