জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় ধানুয়া কামালপুর সীমান্ত দিয়ে চারজন নারীসহ সাতজনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। ১০ জুলাই, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ধানুয়া কামালপুরের ১০৮৩ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছ দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়। পরে সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের আটক করে বকশীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে। তাদের বাড়ি খুলনা, ফরিদপুর, বাগেরহাট ও বরগুনার জেলায়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার কাশেম আলীর ছেলে এনায়েত খাঁ (৫৫), একই উপজেলার বেলায়েত খাঁয়ের ছেলে মোহম্মদ ইসলাম (২২), ফরিদপুর জেলার মেহবুব আলীর ছেলে কোরবান আলী (২০), তার মা তাছলিমা বেগম (৫০), খুলনার খালিশপুর এলাকার সোহাগ মিয়ার মেয়ে সুমি আক্তার (৩০), তার বোন রেমি আক্তার (২০) ও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রুস্তম আলীর মেয়ে মায়া আক্তার (৩২)।
ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোতালেব মিয়া জানান, ১০ জুলাই ভোরে ভারত থেকে সাতজনকে পুশইন করছে এমন খবর পেয়ে গ্রামবাসীকে নিয়ে আমরা সীমান্তে অবস্থান নেই এবং তাদের আটক করি।
আটক ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে কাজের সন্ধানে দালালের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন শহরে চলে যায়। সম্প্রতি বিভিন্ন সীমান্তে পুশইনের ঘটনা ঘটলে বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে তাদেরও বাংলাদেশে পাঠায় বিএসএফ।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ এ প্রতিবেদককে বলেনম, ধানুয়া কামালপুর সীমান্তে পুশইন করার পর স্থানীয়রা সাতজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। এ বিষয়ে আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।