জামালপুরে ৪৮ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে এককালীন শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ করেছে জেলা পরিষদ। ৮ জুলাই, মঙ্গলবার বিকালে জেলা পরিষদের হল রুমে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের এই শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ করা হয়।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবুর সভাপতিত্বে এ চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম। সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসনুভা ইসলামের সঞ্চালনায় শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রোজদিদ আহম্মেদ, সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. আজিজুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আফসানা তাসলিম, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি এম এস আর আলিফ, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলে এলাহী মাকাম প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, এ বৃত্তি শুধুমাত্র একটি আর্থিক সহায়তা নয়। আমি মনে করি এই চেকপ্রাপ্তি শিক্ষার্থীদের মনে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। প্রেরণা যোগাবে। আমি আশাবাদী এই কৃতী শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করবে।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে সরকারিভাবে এই শিক্ষাবৃত্তির চেক শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। ৪৮ জন কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমরা আজ চার লাখ ৮০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হল। প্রতিজনকে দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার টাকা করে। এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের জন্য দু’বার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। যেসব আবেদন জমা পড়েছিল, যাচাই-বাছাই করে ৪৮ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হল।
পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতে যেন এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন না যায়। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের কঠোর হতে হবে। যদি শিক্ষার জন্য মোবাইল প্রয়োজন হয় তবে যেন তারা সতর্ক থাকেন। মোবাইলের একান্ত প্রয়োজন হলে যদি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন হয় তবে বাটন ফোন কিনে দেবেন। এই এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনই যেন আপনার সন্তানের ক্ষতির কারণ না হয়, সেদিকে সবারই দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
শিক্ষাবৃত্তির চেক পেয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন অভিভাবক আজহার আলী, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের আহত ও নিহতদের সংগঠনের যুগ্ম মুখ্যসচিব অম্লান সরকার, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষ রাষ্ট্র বিজ্ঞানের কৃতী শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার, জামালপুর ট্রেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী মো. মিজানুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া রহমান।