১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত জামালপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী বেসরকারি কলেজ ‘সরিষাবাড়ী কলেজ’ এর নামের সাথে মিল রেখে সরিষাবাড়ীর অপর একটি নতুন কলেজ ‘সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘সরকারি সরিষাবাড়ী কলেজ’ নামকরণ করায় সরিষাবাড়ী কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সরিষাবাড়ীর সর্বস্তরের জনগণের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই আদেশ বাতিল ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ২৯ মে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সরিষাবাড়ী কলেজের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে স্মারকলিপি পেশ এবং মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত জামালপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী সরিষাবাড়ী কলেজটি জাতীয়করণের প্রক্রিয়ায় থাকলেও এখনও জাতীয়করণ হয়নি। প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী, সুবিশাল অবকাঠামো এবং সুনাম থাকা সত্ত্বেও ফ্যাসিস্ট সরকারের তৎকালীন এমপি মির্জা আজমের অবৈধ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে জাতীয়করণের সব শর্তাবলিকে পাশ কাটিয়ে শুধু মাত্র বঙ্গবন্ধু নামকে পুঁজি করে পাশের এমপিওভুক্ত বঙ্গবন্ধু কলেজকে বিশেষ বিবেচনায় ২০১৬ সালে জাতীয়করণ করা হয়। যা স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
এদিকে সম্প্রতি বর্তমান সরকার সরিষাবাড়ী বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের নাম পরিবর্তন করে সরিষাবাড়ী সরকারি কলেজ প্রজ্ঞাপন করে পত্র দেয়। পুরনো সরিষাবাড়ী কলেজের সঙ্গে নামের মিল থাকায় বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা পরিষদর চত্বরে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ। তারা দ্রুত সরিষাবাড়ী কলেজ সরকারিকরণ এবং জাতীয়করণপ্রাপ্ত কলেজটির নাম পরিবর্তনের দাবি জানান।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সরিষাবাড়ী কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিমুল এহছান শাহীন, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ বি এম সাইদুল হাসান শিপন, শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক খায়রুল আলম শ্যামল, প্রভাষক বিউটি খাতুন প্রমুখ ।