ঢাকা ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, একজনকে সাতদিনের কারাদণ্ড মাদারগঞ্জে প্রয়াত যুবদলনেতা বুলবুলের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত ৯ ঘন্টা পর অপহৃতা বন্যাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার মাছ ধরার ঐতিহ্য বিএনপি ও শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় দুই নেতার সুস্থতা কামনায় জামালপুরে দোয়া মাহফিল জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ডিসিকে স্মারকলিপি মেলান্দহে পুষ্টি সমন্বয় কিমিটির দ্বি-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ইসলামপুরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর প্রধান শিক্ষক পলাতক সরিষাবাড়ীতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন, উদ্ধার করল পুলিশ

ভয়হীন, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে জনগণ ঈদ উদযাপন করছে : তারেক রহমান

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে দীর্ঘ দেড় দশক পর গুম, খুন, অপহরণের ভয়হীন-স্বাধীন সার্বভৌম এক গণতান্ত্রিক পরিবেশে দেশের আপামর জনগণ এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে।

তারেক রহমান তার ভেরিফাইড ফেসবুকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া স্ট্যাটাসে ৩০ মার্চ রবিবার এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদ আনন্দে তাই যোগ হয়েছে উচ্ছ্বাস-উৎসাহ উদ্দীপনার এক নতুন মাত্রা।’

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘ত্যাগ-তাকওয়া আর সংযমের শিক্ষা গ্রহণের মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় জীবনকে সুন্দর ও পরিশুদ্ধ করার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর বিশ্বজনীন ঐক্য, সংহতি, সহমর্মিতা এবং অনাবিল আনন্দের বার্তা নিয়ে এলো পবিত্র ঈদুল ফিতর।

তিনি বলেন, ‘ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রতি জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও মোবারকবাদ। ঈদ মুবারক।’

তিনি আরো বলেন, ‘ব্যক্তি জীবনকে পরিশুদ্ধ ও সংযমী করে গড়ার লক্ষ্যে মোমিন মুসলমানদের মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর হৃদয় আনন্দে উপচে পড়া ঈদুল ফিতর সমাগত হয়।’

তারেক রহমান বলেন, ‘মানুষের মনে পবিত্র আনন্দ-উচ্ছ্বাসের এমন এক বাধাহীন ঊর্মিমুখর সময়েও অনেক মায়েদের মনে আনন্দ নেই। অনেক পরিবারে নেই উৎসবের আমেজ। কারণ ফ্যাসিবাদের দীর্ঘ দেড় দশকের গুম, খুন, অপহরণ, জুলুম নির্যাতনে সন্তান স্বজনহারা লাখো পরিবারে নেমে এসেছিলো জাহেলিয়াতের অন্ধকার। শুধুমাত্র জুলাই-আগস্টেই পলাতক স্বৈরাচারের পতনের শেষ দিনগুলোতে প্রাণ হারিয়েছেন নানা শ্রেণী পেশার হাজারো মানুষ। ছাত্র-যুবক-কৃষক-শ্রমিক-রাজনৈতিক কর্মী কিংবা নিরীহ পথচারী এমনকি নারী, শিশু,বৃদ্ধ পর্যন্ত ফ্যাসিস্টের বুলেট থেকে রক্ষা পায়নি। আহত হয়েছেন ২০ সহস্রাধিক মানুষ।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারগুলোতে আজ তাই ঈদ উৎসবের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস নেই। ঈদের দিনেও হয়তো সন্তানহারা কোনো মায়ের চোখে অশ্রু। এই আনন্দঘন সময়েও স্বজনদের হৃদয়ে আপনজন হারানোর নিঃশব্দ কান্না। মাফিয়া চক্রের নির্মমতায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত প্রিয় মানুষটির কাছে বসেই অনেককে ঈদ আনন্দের এই দিনটি কাটাতে হচ্ছে আশা নিরাশা আর হতাশায়।’

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঈদুল ফিতর নির্মল আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মর্মবাণী মানবজাতির কাছে পৌঁছে যায় তা হচ্ছে ‘সকলের তরে সকলে আমরা’। এই মর্মবাণী মানসিক কদর্য, অন্যায়, অবিচার ও নিষ্ঠুর সামাজিক অসাম্যকে অতিক্রম করে এক নিবিড় ভ্রাতৃত্ববোধের প্রেরণা জাগায়। আর এই প্রেরণায় উদ্দীপ্ত হয়ে সমাজের অপেক্ষাকৃত দরিদ্র, অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া মুসলমান হিসাবে আমাদের কর্তব্য।

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় দশক ধরে ফ্যাসিবাদী শাসন চালাতে গিয়ে যারা মানুষের ঈদ উৎসবের আনন্দকে ধ্বংস করে দিয়েছে, যারা অস্ত্রের জোরে মায়েদের বুক থেকে তাদের প্রিয় সন্তানদের কেড়ে নিয়েছে, যারা দেশের অসংখ্য অগণিত সন্তানকে পিতৃহারা-মাতৃহারা করেছে, এই বাংলাদেশে তাদের বিচার হতেই হবে। যে কোনো মূল্যে পলাতক স্বৈরাচার আর তাদের দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করার মাধ্যমে দেশে আইন ও ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা করে সন্তানহারা মায়েদের মনে স্বজন হারা শোকসন্তপ্ত পরিবারে একটু হলেও সান্ত্বনার বার্তা দেয়া হবে। এবারের ঈদে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’

তারেক রহমান বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভিঘাত সত্ত্বেও ঈদ আমাদের জাতীয় জীবনের সংস্কৃতির দ্যোতক, আবহমানকাল থেকে শুভেচ্ছা ও আনন্দের আদান প্রদান। ঈদুল ফিতর এর দিনে আমি আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য।’সূত্র:বাসস।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, একজনকে সাতদিনের কারাদণ্ড

ভয়হীন, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে জনগণ ঈদ উদযাপন করছে : তারেক রহমান

আপডেট সময় ০৯:৩১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে দীর্ঘ দেড় দশক পর গুম, খুন, অপহরণের ভয়হীন-স্বাধীন সার্বভৌম এক গণতান্ত্রিক পরিবেশে দেশের আপামর জনগণ এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে।

তারেক রহমান তার ভেরিফাইড ফেসবুকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া স্ট্যাটাসে ৩০ মার্চ রবিবার এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদ আনন্দে তাই যোগ হয়েছে উচ্ছ্বাস-উৎসাহ উদ্দীপনার এক নতুন মাত্রা।’

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘ত্যাগ-তাকওয়া আর সংযমের শিক্ষা গ্রহণের মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় জীবনকে সুন্দর ও পরিশুদ্ধ করার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর বিশ্বজনীন ঐক্য, সংহতি, সহমর্মিতা এবং অনাবিল আনন্দের বার্তা নিয়ে এলো পবিত্র ঈদুল ফিতর।

তিনি বলেন, ‘ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রতি জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও মোবারকবাদ। ঈদ মুবারক।’

তিনি আরো বলেন, ‘ব্যক্তি জীবনকে পরিশুদ্ধ ও সংযমী করে গড়ার লক্ষ্যে মোমিন মুসলমানদের মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর হৃদয় আনন্দে উপচে পড়া ঈদুল ফিতর সমাগত হয়।’

তারেক রহমান বলেন, ‘মানুষের মনে পবিত্র আনন্দ-উচ্ছ্বাসের এমন এক বাধাহীন ঊর্মিমুখর সময়েও অনেক মায়েদের মনে আনন্দ নেই। অনেক পরিবারে নেই উৎসবের আমেজ। কারণ ফ্যাসিবাদের দীর্ঘ দেড় দশকের গুম, খুন, অপহরণ, জুলুম নির্যাতনে সন্তান স্বজনহারা লাখো পরিবারে নেমে এসেছিলো জাহেলিয়াতের অন্ধকার। শুধুমাত্র জুলাই-আগস্টেই পলাতক স্বৈরাচারের পতনের শেষ দিনগুলোতে প্রাণ হারিয়েছেন নানা শ্রেণী পেশার হাজারো মানুষ। ছাত্র-যুবক-কৃষক-শ্রমিক-রাজনৈতিক কর্মী কিংবা নিরীহ পথচারী এমনকি নারী, শিশু,বৃদ্ধ পর্যন্ত ফ্যাসিস্টের বুলেট থেকে রক্ষা পায়নি। আহত হয়েছেন ২০ সহস্রাধিক মানুষ।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারগুলোতে আজ তাই ঈদ উৎসবের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস নেই। ঈদের দিনেও হয়তো সন্তানহারা কোনো মায়ের চোখে অশ্রু। এই আনন্দঘন সময়েও স্বজনদের হৃদয়ে আপনজন হারানোর নিঃশব্দ কান্না। মাফিয়া চক্রের নির্মমতায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত প্রিয় মানুষটির কাছে বসেই অনেককে ঈদ আনন্দের এই দিনটি কাটাতে হচ্ছে আশা নিরাশা আর হতাশায়।’

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঈদুল ফিতর নির্মল আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মর্মবাণী মানবজাতির কাছে পৌঁছে যায় তা হচ্ছে ‘সকলের তরে সকলে আমরা’। এই মর্মবাণী মানসিক কদর্য, অন্যায়, অবিচার ও নিষ্ঠুর সামাজিক অসাম্যকে অতিক্রম করে এক নিবিড় ভ্রাতৃত্ববোধের প্রেরণা জাগায়। আর এই প্রেরণায় উদ্দীপ্ত হয়ে সমাজের অপেক্ষাকৃত দরিদ্র, অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া মুসলমান হিসাবে আমাদের কর্তব্য।

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় দশক ধরে ফ্যাসিবাদী শাসন চালাতে গিয়ে যারা মানুষের ঈদ উৎসবের আনন্দকে ধ্বংস করে দিয়েছে, যারা অস্ত্রের জোরে মায়েদের বুক থেকে তাদের প্রিয় সন্তানদের কেড়ে নিয়েছে, যারা দেশের অসংখ্য অগণিত সন্তানকে পিতৃহারা-মাতৃহারা করেছে, এই বাংলাদেশে তাদের বিচার হতেই হবে। যে কোনো মূল্যে পলাতক স্বৈরাচার আর তাদের দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করার মাধ্যমে দেশে আইন ও ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা করে সন্তানহারা মায়েদের মনে স্বজন হারা শোকসন্তপ্ত পরিবারে একটু হলেও সান্ত্বনার বার্তা দেয়া হবে। এবারের ঈদে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’

তারেক রহমান বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভিঘাত সত্ত্বেও ঈদ আমাদের জাতীয় জীবনের সংস্কৃতির দ্যোতক, আবহমানকাল থেকে শুভেচ্ছা ও আনন্দের আদান প্রদান। ঈদুল ফিতর এর দিনে আমি আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য।’সূত্র:বাসস।