শেরপুরের নকলা উপজেলায় জন্মনিবন্ধনের জন্য আগ্রহ সৃষ্টি করতে ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে নবজাতকের বাড়িতে মিষ্টি ও উপহার সামগ্রী নিয়ে হাজির হলেন নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপ জন মিত্র।
৪ মার্চ মঙ্গলবার বিকালে নকলা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে টালকী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার নবজাতকের বাড়িতে এসব উপহার নিয়ে হাজির হন তিনি। এ সময় টালকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাফফর মহিউদ্দিন বুলবুলসহ উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ৪ মার্চ বিকালে টালকী ইউনিয়নের মজিদবাড়ি এলাকার আজিমদ্দিন ও আবুল হোসেনের বাড়িতে যান ইউএনও। নবজাতকের পরিবার হঠাৎ ইউএনও’র হাতে মিষ্টি ও উপহার সামগ্রী দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেন। এ উদ্যোগকে সবাই স্বাগত জানান। ইউএনও’র আগমনে অনেকে উপস্থিত হলে সবার মাঝে জন্মনিবন্ধন করার ও নবজাতকের সুস্থতার জন্য ইপিআই কর্মসূচির গুরুত্ব এবং এর সুফল বর্ণনা করলে সবাই আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মেজাফফর মহিউদ্দিন বুলবুল বলেন, শিশু জন্মের পরে জন্মনিবন্ধন করার কথা থাকলেও নাগরিকেরা অবহেলা করেন। প্রায়ই দেখা যায় বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তির সময় অভিভাবকেরা জন্ম সনদ নিতে আসেন। তখন দেখা যায় অভিভাবকদের জন্মনিবন্ধন করতে হয় এতে করে কিছুটা বিলম্ব হয়। তাছাড়া অনেক সময় সফটওয়্যারেরও সমস্যা থাকে। আমরা নাগরিকসেবা বৃদ্ধির জন্য এখন শিশু বাচ্চার জন্মের খবরে এখানে আসছি। যাতে তারা জন্মনিবন্ধনে আগ্রহী হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপ জন মিত্র বলেন, শিশু জন্মের পরপর জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। এটা সকল পরিবারের দায়িত্ব। শুধু তাই না, জন্মের পরই জন্মনিবন্ধন করলে কোন ঝামেলা থাকে না। এর সুফল অনেক। তাই আজ আমরা এসেছি আপনাদের মাঝে সচেতনতা ও উৎসাহ বৃদ্ধি করতে ও শুভেচ্ছা বার্তা পৌছে দিতে। আপনারা নিজের শিশু জন্মের পরই জন্মনিবন্ধন করুন। নবজাতকের সুস্থতার জন্য ইপিআই কর্মসূচির অধীন সকল টিকা গ্রহণ এবং আশপাশের সবাইকে জন্মনিবন্ধন করতে উদ্বুদ্ধ করুন। এটা আপনাদের নাগরিক অধিকার।