ঢাকা ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

মাদারগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন নিয়ে সংঘর্ষ, সম্মেলন স্থগিত

মাদারগঞ্জ : তেঘরিয়ায় বিএনপির সংঘর্ষের সময় পোড়ানো হয় মোটরসাইকেল। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তেঘরিয়া সাহেদ আলী স্কুল ও কলেজ মাঠে চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের প্যান্ডেল প্রস্তুত করার সময় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নয়জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন স্থগিত করেছে উপজেলা বিএনপি।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারগঞ্জ উপজেলার তেঘরিয়া সাহেদ আলী স্কুল ও কলেজ মাঠে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকালে চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। আসন্ন সম্মেলনে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদপ্রত্যাশী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. মজনু ফকির ও যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার নিজেদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেন।

২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের প্যান্ডেল ও মঞ্চ প্রস্তুতের কাজ চলছিল। এ সময় সভাপতি পদপ্রত্যাশী দুই নেতার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালে সম্মেলনের মাঠে বিকট শব্দে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সম্মেলনের জন্য মাঠে থাকা প্রায় দুই হাজার চেয়ারে পেট্রোল ঢেলে আগুন জালিয়ে দেওয়া হয়। স্কুল মাঠে সম্মেলনের জন্য তৈরি করা মঞ্চ এবং কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত নয়জন আহত হয়।

মাদারগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ (২২), বালিজুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আল আমিন চৌধুরী (২২), যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম (৪০), ছাত্রদল নেতা শ্যামল মিয়াকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও আব্দুস সোবহান (৪১) নামে এক নেতার মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। আহত অন্যান্য নেতা-কর্মীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. মজনু ফকির ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।

তেঘরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. মজনু ফকির বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনের জন্য সাহেদ আলী স্কুল ও কলেজ মাঠে প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল। ইউনিয়ন বিএনপির বেশ কিছু নেতা-কর্মী নিয়ে অফিসে বসেছিলাম। রাত ৯টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। পরে মানুষের চিৎকার চেচামেচি শুনে মাঠে গিয়ে দেখি উপজেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান মোখলেস, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার, হুমায়ুন ও স্বপন-সহ আরও কয়েকজন সম্মেলন মাঠে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও চেয়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে বিএনপির বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যান। ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন স্থগিত করার জন্যই তারা এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বহিষ্কারের দাবি জানান তিনি।

অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার বলেন, ওয়ার্ড বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে দেখা করে রাতে মিতালী বাজারে যাই। আমাদের কয়েকজন নেতা-কর্মী প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরির কাজ পরিদর্শন করার জন্য স্কুল মাঠে গেলে মজনু ফকিরের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ মোস্তাক ও তার লোকজন অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের সাতজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

মাদারগঞ্জ : তেঘরিয়ায় বিএনপির সংঘর্ষের সময় চেয়ার ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

তিনি আরও বলেন, মজনু ফকিরের লোকজনই প্যান্ডেল ভাংচুর করে ও চেয়ারে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমাদের নেতা-কর্মীদের ছয়টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে তারা। মাঠে ককটেল বিস্ফোরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। মজনু ফকিরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ মোস্তাককে বিএনপিতে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মজনু ফকির উঠে পড়ে লেগেছে।

অপরদিকে আহত মাদারগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ, বালিজুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন চৌধুরী, যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা শ্যামল বলেন, মজনু ফকিরের নির্দেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ মোস্তাকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে গুরুতর আহত করে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আইনজীবী মনজুর কাদের বাবুল খান বলেন, চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল মামুন বলেন, চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সম্মেলন মঞ্চে ও চেয়ার ভাংচুর করা হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাদারগঞ্জে বিএনপি নেতাকে হেনস্তা, অপপ্রচারের অভিযোগ

মাদারগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন নিয়ে সংঘর্ষ, সম্মেলন স্থগিত

আপডেট সময় ০৮:৪৫:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তেঘরিয়া সাহেদ আলী স্কুল ও কলেজ মাঠে চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের প্যান্ডেল প্রস্তুত করার সময় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নয়জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন স্থগিত করেছে উপজেলা বিএনপি।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারগঞ্জ উপজেলার তেঘরিয়া সাহেদ আলী স্কুল ও কলেজ মাঠে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকালে চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। আসন্ন সম্মেলনে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদপ্রত্যাশী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. মজনু ফকির ও যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার নিজেদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেন।

২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের প্যান্ডেল ও মঞ্চ প্রস্তুতের কাজ চলছিল। এ সময় সভাপতি পদপ্রত্যাশী দুই নেতার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালে সম্মেলনের মাঠে বিকট শব্দে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সম্মেলনের জন্য মাঠে থাকা প্রায় দুই হাজার চেয়ারে পেট্রোল ঢেলে আগুন জালিয়ে দেওয়া হয়। স্কুল মাঠে সম্মেলনের জন্য তৈরি করা মঞ্চ এবং কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত নয়জন আহত হয়।

মাদারগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ (২২), বালিজুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আল আমিন চৌধুরী (২২), যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম (৪০), ছাত্রদল নেতা শ্যামল মিয়াকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও আব্দুস সোবহান (৪১) নামে এক নেতার মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। আহত অন্যান্য নেতা-কর্মীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. মজনু ফকির ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।

তেঘরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. মজনু ফকির বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনের জন্য সাহেদ আলী স্কুল ও কলেজ মাঠে প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল। ইউনিয়ন বিএনপির বেশ কিছু নেতা-কর্মী নিয়ে অফিসে বসেছিলাম। রাত ৯টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। পরে মানুষের চিৎকার চেচামেচি শুনে মাঠে গিয়ে দেখি উপজেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান মোখলেস, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার, হুমায়ুন ও স্বপন-সহ আরও কয়েকজন সম্মেলন মাঠে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও চেয়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে বিএনপির বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যান। ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন স্থগিত করার জন্যই তারা এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বহিষ্কারের দাবি জানান তিনি।

অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার বলেন, ওয়ার্ড বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে দেখা করে রাতে মিতালী বাজারে যাই। আমাদের কয়েকজন নেতা-কর্মী প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরির কাজ পরিদর্শন করার জন্য স্কুল মাঠে গেলে মজনু ফকিরের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ মোস্তাক ও তার লোকজন অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের সাতজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

মাদারগঞ্জ : তেঘরিয়ায় বিএনপির সংঘর্ষের সময় চেয়ার ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

তিনি আরও বলেন, মজনু ফকিরের লোকজনই প্যান্ডেল ভাংচুর করে ও চেয়ারে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমাদের নেতা-কর্মীদের ছয়টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে তারা। মাঠে ককটেল বিস্ফোরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। মজনু ফকিরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ মোস্তাককে বিএনপিতে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মজনু ফকির উঠে পড়ে লেগেছে।

অপরদিকে আহত মাদারগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ, বালিজুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন চৌধুরী, যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা শ্যামল বলেন, মজনু ফকিরের নির্দেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ মোস্তাকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে গুরুতর আহত করে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আইনজীবী মনজুর কাদের বাবুল খান বলেন, চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল মামুন বলেন, চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সম্মেলন মঞ্চে ও চেয়ার ভাংচুর করা হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।