শেরপুরের নকলা উপজেলায় ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার আসামি আশিকের (২০) প্রকাশ্যে বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত নকলা থানার সামনের আঞ্চলিক মহাসড়কে তারা কর্মসূচি পালন করেন।
এর আগে ধর্ষণকারী আশিকের বিচার নিজ হাতে ও জনসম্মুখে করার জন্য থানা থেকে আশিককে জোরপূর্বক ছিনিয়ে আনতে যায় আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা। এদিকে দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে ধর্ষণকারীর দ্রুত বিচার কার্যক্রমসহ সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে নকলা উপজেলা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নকলা উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের পাঠাকাটা উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও পূর্বটালকী দাখিল মাদরাসার ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৩) তাদের বাড়ি থেকে পাশেই তার দাদির বাড়িতে রাতের বেলায় থাকতে যান। কিছুক্ষণ পরে তার দাদার বাড়িতে যাননি বলে জানতে পেরে পরিবারের লোকজন আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেন।

বাড়ির পাশে স্থানীয় রফিকুল ইসলামের ভুট্টা ক্ষেতে লোকজনের শব্দ পেয়ে সেখানে যান এবং তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়াদৌড়ি করে কয়েজন পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে চিনতে পারেন তারা। তিনি উপজেলার সালুয়া এলাকার আবু সাইদের ছেলে আশিক। সেখানে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই ছাত্রীকে। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ ঘটনায় ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার ওই শিশু-ছাত্রীর মা বাদী হয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আশিককে আসামি করে নকলা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার এজাহারভুক্ত আসামি আশিককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে নকলা থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে নকলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাশেম এ প্রতিবেদককে বলেন, ওই ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তার এবং শিক্ষার্থী ও তার পরিবারকে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দিতে কাজ করছে পুলিশ।