জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেছেন, আমরা আমাদের লোকজ ও দেশজ নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে চাই এবং সেগুলো লালন করে দেশের সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছাতে চাই। আগামী ভবিষ্যৎ হবে কমপিটিশনের ভবিষ্যৎ। কোন সুপারিশ বা তদবিরে যাওয়ার আর সুযোগ নেই।
২৪ জানুয়ারি শুক্রবার বিকালে জামালপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম স্টেডিয়ামে “নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশব্যাপী তারুণ্যের উৎসব” উদযাপনের অংশ হিসেবে ক্রীড়া পরিদপ্তর আয়োজিত অনূর্ধ্ব-১৭ বালক-বালিকাদের জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সারা জেলায় শুধু মাত্র ফুটবল নয়, সাত ধরনের খেলা চলছে। দেশীয় লোকজ সংস্কৃতির যে ধরনের খেলাধুলা রয়েছে সেই খেলাধুলা সারা জেলায় চলছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটাই, খেলাধুলার মাধ্যমে যুব সমাজ যেন তাদের নেতৃত্বের বিকাশ গড়তে পারে। তারা যেন ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। তারা যেন সুস্থ জীবন বিকাশে সুস্থ বিনোদনে দেশসেবায় এগিয়ে যেতে পারে।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে এই যুবকদের মাঝে আগামীদিনের নেতৃত্ব, আগামী দিনের ভবিষ্যৎ লুকাইত আছে। শুধুমাত্র লেখাপড়া নয়, খেলাধুলার মাধ্যমেও বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।

ফাইনাল খেলায় জামালপুর পৌরসভা বালিকা দল বনাম মেলান্দহ উপজেলা বালিকা দল এবং জামালপুর পৌরসভা বালক দল বনাম মেলান্দহ উপজেলা বালক দল অংশ নেয়। মেলান্দহ উপজেলা বালিকা দলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে জামালপুর পৌরসভা বালিকা দল চ্যাম্পিয়ন হয়। অপরদিকে মেলান্দহ উপজেলা বালক দলকে ২-০ গোলে পরাজিত করে জামালপুর পৌরসভা বালক দল চ্যাম্পিয়ন হয়। বালক-বালিকা দুটি দলের খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন সাইদুর রহমান পল ও নুর ইসলাম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন (সার্বিক) ইফতেখার ইউনুসের সভাপতিত্বে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান, জামালপুর জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আরফিন আক্তার মনি প্রমুখ।
উল্লেখ, ২০ জানুয়ারি সোমবার বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিম স্টেডিয়ামে জামালপুর জেলার সাতটি উপজেলা ও জামালপুর পৌরসভাসহ সর্বমোট আটটি দল জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলায় অংশ নেয়।