ঢাকা ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, একজনকে সাতদিনের কারাদণ্ড মাদারগঞ্জে প্রয়াত যুবদলনেতা বুলবুলের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত ৯ ঘন্টা পর অপহৃতা বন্যাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার মাছ ধরার ঐতিহ্য বিএনপি ও শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় দুই নেতার সুস্থতা কামনায় জামালপুরে দোয়া মাহফিল জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ডিসিকে স্মারকলিপি মেলান্দহে পুষ্টি সমন্বয় কিমিটির দ্বি-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ইসলামপুরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর প্রধান শিক্ষক পলাতক সরিষাবাড়ীতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন, উদ্ধার করল পুলিশ

র‌্যাবের অভিযান : জেল পলাতক সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি শেরপুরের রফিক গ্রেপ্তার

র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি রফিক মিয়া। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

র‌্যাবের অভিযানে শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পলাতক হত্যা মামলার আসামি রফিক মিয়া গ্রেপ্তার হয়েছেন। শেরপুর জেলা সদর উপজেলার দিকপাড়া রঘুনাথপুর গ্রামের গ্রামের সলিমুদ্দিনের ছেলে তিনি। র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুরের একটি আভিযানিক দল ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে এ অভিযান পরিচালনা করেন। র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে কয়েক হাজার দুষ্কৃতিকারী শেরপুর জেলা কারাগারে আক্রমণ করে। এ সময় আক্রমণকারীরা জেলা কারাাগারের বিবিধ স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি সাধনসহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বিভিন্ন মামলার প্রায় পাঁচ শতাধিক কয়েদিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।

জেল থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানি, শেরপুর জেলা কারা কর্তৃপক্ষ এবং শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা পলাতক কয়েদিদের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে আসছে র‌্যাব-১৪। ইতিমধ্যে পলাতক আসামিদের কয়েকজন র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছেন।

র‌্যাব সূত্র জানায়, শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পলাতক ১৩৩৭/২৪ নম্বর হাজতি আসামি রফিক মিয়া (৩৪) একটি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। তিনি শেরপুর সদর থানার মামলা নম্বর ৬৪, তারিথ ২৯/০৪/২০২৩, শেরপুরের দায়রা নম্বর ১৫/০৪, ৩০২/৩৪ ধারার পেনাল কোড মামলায় ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে  দণ্ডিত কয়েদি। ৫ আগস্ট শেরপুর জেলা কারাগারে দুষ্কৃতিকারীদের আক্রমণের সময় অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে তিনিও পালিয়ে এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেল পলাতক কয়েদি ফিরোজ মিয়ার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে রাতে তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল। অভিযানের সময় রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে এবং স্কোয়াড কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ টি এম আমিনুল ইসলামের উপস্থিতিতে র‌্যাবের আভিযানিক দলটি শেরপুর জেলা সদর উপজেলার দিকপাড়া রঘুনাথপুর এলাকা থেকে কয়েদি রফিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। গ্রেপ্তার রফিক মিয়াকে শেরপুর সদর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার রফিক মিয়া ৫ আগস্ট শেরপুর জেলা কারাগারে দুষ্কৃতিকারীদের আক্রমণের ঘটনার দিন অন্যান্য কয়েদিদের সাথে কৌশলে কারাগার থেকে পালিয়ে শেরপুর জেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। জেল পলাতক এসব হাজতি ও কয়েদিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র‌্যাবের জোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।

র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, র‌্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। র‌্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যার মত জঘন্য অপরাধ কর্মকাণ্ড দমনের লক্ষ্যে র‌্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সমাজ ও দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, একজনকে সাতদিনের কারাদণ্ড

র‌্যাবের অভিযান : জেল পলাতক সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি শেরপুরের রফিক গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৩:০১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

র‌্যাবের অভিযানে শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পলাতক হত্যা মামলার আসামি রফিক মিয়া গ্রেপ্তার হয়েছেন। শেরপুর জেলা সদর উপজেলার দিকপাড়া রঘুনাথপুর গ্রামের গ্রামের সলিমুদ্দিনের ছেলে তিনি। র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুরের একটি আভিযানিক দল ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে এ অভিযান পরিচালনা করেন। র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে কয়েক হাজার দুষ্কৃতিকারী শেরপুর জেলা কারাগারে আক্রমণ করে। এ সময় আক্রমণকারীরা জেলা কারাাগারের বিবিধ স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি সাধনসহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বিভিন্ন মামলার প্রায় পাঁচ শতাধিক কয়েদিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।

জেল থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানি, শেরপুর জেলা কারা কর্তৃপক্ষ এবং শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা পলাতক কয়েদিদের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে আসছে র‌্যাব-১৪। ইতিমধ্যে পলাতক আসামিদের কয়েকজন র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছেন।

র‌্যাব সূত্র জানায়, শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পলাতক ১৩৩৭/২৪ নম্বর হাজতি আসামি রফিক মিয়া (৩৪) একটি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। তিনি শেরপুর সদর থানার মামলা নম্বর ৬৪, তারিথ ২৯/০৪/২০২৩, শেরপুরের দায়রা নম্বর ১৫/০৪, ৩০২/৩৪ ধারার পেনাল কোড মামলায় ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে  দণ্ডিত কয়েদি। ৫ আগস্ট শেরপুর জেলা কারাগারে দুষ্কৃতিকারীদের আক্রমণের সময় অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে তিনিও পালিয়ে এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেল পলাতক কয়েদি ফিরোজ মিয়ার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে রাতে তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল। অভিযানের সময় রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে এবং স্কোয়াড কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ টি এম আমিনুল ইসলামের উপস্থিতিতে র‌্যাবের আভিযানিক দলটি শেরপুর জেলা সদর উপজেলার দিকপাড়া রঘুনাথপুর এলাকা থেকে কয়েদি রফিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। গ্রেপ্তার রফিক মিয়াকে শেরপুর সদর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার রফিক মিয়া ৫ আগস্ট শেরপুর জেলা কারাগারে দুষ্কৃতিকারীদের আক্রমণের ঘটনার দিন অন্যান্য কয়েদিদের সাথে কৌশলে কারাগার থেকে পালিয়ে শেরপুর জেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। জেল পলাতক এসব হাজতি ও কয়েদিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র‌্যাবের জোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।

র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, র‌্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। র‌্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যার মত জঘন্য অপরাধ কর্মকাণ্ড দমনের লক্ষ্যে র‌্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সমাজ ও দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।