ঢাকা ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাতেমুন মঈন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে ইউএনও’র কাছে শিক্ষকদের অভিযোগ

বকশীগঞ্জ খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও অধ্যক্ষ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও অধ্যক্ষ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদারকে অপসারণ ও তাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অহনা জিন্নাতের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। একই অভিযোগে জ্যেষ্ঠ একজন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়ে কলেজের পাঠদানসহ সার্বিক কার্যক্রমের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনারও দাবি জানিয়েছেন তারা। ২৫ আগস্ট রবিবার বিকেলে তারা এই অভিযোগ জমা দেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ দলীয় বিগত সরকার ক্ষমতাচ্যূত হয়েছে। ক্ষমতাচ্যূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে গণহত্যার নির্দেশদাতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জড়িতরাসহ দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপি, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের বিচারের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আইনের আওতায় আনা শুরু হয়েছে।

বিগত সরকারের আমলের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছচারিতার কুপ্রভাব পড়েছে খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজেও। ৫ আগস্ট বিগত সরকার পতনের পর থেকেই এই কলেজের অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদার কলেজে আসা বন্ধ করে দেন। কলেজ পরিচালনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, আত্মীয়করণ ও অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের ঘোরতর অভিযোগ থাকায় তার নির্দেশনায় কলেজে চাকরি করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কলেজটিতে দীর্ঘদিন ধরে উপাধ্যক্ষের পদটিও শূন্য রয়েছে। অধ্যক্ষ হিসেবে নিজের আধিপত্য ও আখের গোছানোর জন্য উপাধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টিও ফাইলচাপা দিয়ে রেখেছেন। এতে করে বিগত সরকার পতনের অনেক আগে থেকেই দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কলেজের শিক্ষার মান ও কলেজের শিক্ষার্থীদের ফলাফল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজ অডিটের নামে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে উৎকোচ নেয়া, প্রভাষক দিয়ে কলেজের করণিকের কাজ করানো, ছাত্রী ভর্তির হার দিন দিন কমে যাওয়া, প্রায় সময় অধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকায় কলেজের দৈনন্দিন কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেওয়া, ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় অনিয়ম, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের কাউকে সদস্য না করে নিজের মনগড়া লোকজন নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে একক আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন অধ্যক্ষ। তিনি স্বেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে শিক্ষকদের অবমূল্যায়নসহ, সকল সুবিধা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের বঞ্চিত, অবৈধ কাজে সম্মতি না দিলে খারাপ আচরণসহ নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন।

এ ছাড়াও শিক্ষক-কর্মচারীদের অজান্তে কলেজের ব্যানারে বহিরাগতদের নিয়ে তার অপকর্ম ঢাকতে মানববন্ধন ও প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের দুই সদস্যসহ একজন সাংবাদিকের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এসব কারণে তাকে নিয়ে কলেজের প্রত্যেক শিক্ষক ও কর্মচারীর মাঝে তীব্র ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়ে আছে। অধ্যক্ষ স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা হওয়ায় বিগত সরকারের আমলে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি।

অধ্যক্ষ বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হয়েও ৫ আগস্টের পর থেকে তার নানামুখী অপতৎপরতায় কলেজের শৃংখলা ভেঙে পড়েছে। কলেজটি বর্তমানে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। ছাত্রীরা তাদের আবাসিক হলে উঠতে ভয় পাচ্ছে। তারা কলেজে আসতেও ভয় পাচ্ছে। অভিভাবকদের মাঝে তাদের মেয়েদের নিয়ে ভয়ভীতির কাজ করছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য। তার দলের সভাপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলেও অধ্যক্ষ বজলুল করিম তালুকদারের প্রভাব বন্ধ হয়নি। অধ্যক্ষ পদটি আকড়ে ধরে রাখতে তিনি স্থানীয় ভিলেজ পলিটিক্সসহ বহিরাগতদের সহায়তায় দুয়েকদিন কিছুক্ষণের জন্য কলেজে এলেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি কলেজে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। তাকে বয়কট করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদার কলেজের দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছচারিতা নিয়োগবাণিজ্যের তদন্ত সাপেক্ষে তাকে অপসারণ না করা হলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন উত্তোলনসহ ছাত্রীদের পাঠদান ও পরীক্ষা গ্রহণসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিগত দিনগুলোতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক অনেক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এতে করে অধ্যক্ষের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছচারিতার তকমা গোটা কলেজটির ভাবমূর্তিকে ধংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদারের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, নিয়োগবাণিজ্য ও সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতার তদন্ত সাপেক্ষে তাকে অবিলম্বে অপসারণ ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে ওই অভিযোগে। বর্তমান সরকারের দেওয়া অতিরিক্ত দায়িত্ব অনুযায়ী এই কলেজের সভাপতি হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে কলেজ পরিচালনার জন্য কলেজের একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করাও দাবি জানানো হয়েছে অভিযোগে।

আরও পড়তে পারেন :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

খাতেমুন মঈন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে ইউএনও’র কাছে শিক্ষকদের অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
বকশীগঞ্জ খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও অধ্যক্ষ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদারকে অপসারণ ও তাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অহনা জিন্নাতের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। একই অভিযোগে জ্যেষ্ঠ একজন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়ে কলেজের পাঠদানসহ সার্বিক কার্যক্রমের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনারও দাবি জানিয়েছেন তারা। ২৫ আগস্ট রবিবার বিকেলে তারা এই অভিযোগ জমা দেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ দলীয় বিগত সরকার ক্ষমতাচ্যূত হয়েছে। ক্ষমতাচ্যূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে গণহত্যার নির্দেশদাতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জড়িতরাসহ দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপি, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের বিচারের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আইনের আওতায় আনা শুরু হয়েছে।

বিগত সরকারের আমলের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছচারিতার কুপ্রভাব পড়েছে খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজেও। ৫ আগস্ট বিগত সরকার পতনের পর থেকেই এই কলেজের অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদার কলেজে আসা বন্ধ করে দেন। কলেজ পরিচালনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, আত্মীয়করণ ও অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের ঘোরতর অভিযোগ থাকায় তার নির্দেশনায় কলেজে চাকরি করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কলেজটিতে দীর্ঘদিন ধরে উপাধ্যক্ষের পদটিও শূন্য রয়েছে। অধ্যক্ষ হিসেবে নিজের আধিপত্য ও আখের গোছানোর জন্য উপাধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টিও ফাইলচাপা দিয়ে রেখেছেন। এতে করে বিগত সরকার পতনের অনেক আগে থেকেই দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কলেজের শিক্ষার মান ও কলেজের শিক্ষার্থীদের ফলাফল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজ অডিটের নামে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে উৎকোচ নেয়া, প্রভাষক দিয়ে কলেজের করণিকের কাজ করানো, ছাত্রী ভর্তির হার দিন দিন কমে যাওয়া, প্রায় সময় অধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকায় কলেজের দৈনন্দিন কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেওয়া, ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় অনিয়ম, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের কাউকে সদস্য না করে নিজের মনগড়া লোকজন নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে একক আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন অধ্যক্ষ। তিনি স্বেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে শিক্ষকদের অবমূল্যায়নসহ, সকল সুবিধা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের বঞ্চিত, অবৈধ কাজে সম্মতি না দিলে খারাপ আচরণসহ নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন।

এ ছাড়াও শিক্ষক-কর্মচারীদের অজান্তে কলেজের ব্যানারে বহিরাগতদের নিয়ে তার অপকর্ম ঢাকতে মানববন্ধন ও প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের দুই সদস্যসহ একজন সাংবাদিকের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এসব কারণে তাকে নিয়ে কলেজের প্রত্যেক শিক্ষক ও কর্মচারীর মাঝে তীব্র ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়ে আছে। অধ্যক্ষ স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা হওয়ায় বিগত সরকারের আমলে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি।

অধ্যক্ষ বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হয়েও ৫ আগস্টের পর থেকে তার নানামুখী অপতৎপরতায় কলেজের শৃংখলা ভেঙে পড়েছে। কলেজটি বর্তমানে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। ছাত্রীরা তাদের আবাসিক হলে উঠতে ভয় পাচ্ছে। তারা কলেজে আসতেও ভয় পাচ্ছে। অভিভাবকদের মাঝে তাদের মেয়েদের নিয়ে ভয়ভীতির কাজ করছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য। তার দলের সভাপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলেও অধ্যক্ষ বজলুল করিম তালুকদারের প্রভাব বন্ধ হয়নি। অধ্যক্ষ পদটি আকড়ে ধরে রাখতে তিনি স্থানীয় ভিলেজ পলিটিক্সসহ বহিরাগতদের সহায়তায় দুয়েকদিন কিছুক্ষণের জন্য কলেজে এলেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি কলেজে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। তাকে বয়কট করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদার কলেজের দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছচারিতা নিয়োগবাণিজ্যের তদন্ত সাপেক্ষে তাকে অপসারণ না করা হলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন উত্তোলনসহ ছাত্রীদের পাঠদান ও পরীক্ষা গ্রহণসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিগত দিনগুলোতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক অনেক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এতে করে অধ্যক্ষের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছচারিতার তকমা গোটা কলেজটির ভাবমূর্তিকে ধংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদারের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, নিয়োগবাণিজ্য ও সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতার তদন্ত সাপেক্ষে তাকে অবিলম্বে অপসারণ ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে ওই অভিযোগে। বর্তমান সরকারের দেওয়া অতিরিক্ত দায়িত্ব অনুযায়ী এই কলেজের সভাপতি হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে কলেজ পরিচালনার জন্য কলেজের একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করাও দাবি জানানো হয়েছে অভিযোগে।

আরও পড়তে পারেন :