
মোস্তফা মনজু
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম
শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে সারাদেশের মতো ১ জুন শনিবার জামালপুর জেলায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার জেলায় তিন লাখ ৩৬ হাজার ৮১৫ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ২৮ মে মঙ্গলবার জামালপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা ডা. নজরুল ইসলাম সভা কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার সভাপতি জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুল হক সাংবাদিকদের জানান, শিশুদের অপুষ্টি নিরাময়, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ১ জুন শনিবার সারাদেশের মতো জামালপুরেও ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপিত হবে। কান্নারত শিশুদের এবং অসুস্থ শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল না খাওয়াতে সতর্ক করাসহ এই ক্যাম্পেইন সফল করতে ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রচারণাসহ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জেলায় এবার তিন লাখ ৩৬ হাজার ৮১৫ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ৩৭ হাজার ৪৩১ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী শিশু রয়েছে ১৪৩টি। এছাড়া ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী দুই লাখ ৯৯ হাজার ৩৮৪ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী শিশু রয়েছে ৫১৬টি।
সিভিল সার্জন জানান, জামালপুর জেলার চাহিদা অনুযায়ী দেশীয় প্রতিষ্ঠান দিয়ে দেশে উৎপাদিত লাল ও নীল রঙের তিন লাখ ৫১ হাজার ১১০টি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ২৬ মে জামালপুর স্বাস্থ্যবিভাগের কাছে এসেছে। এসব ক্যাপসুলের মেয়াদ রয়েছে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১ জুন শনিবার ক্যাম্পেইন চলাকালে এসব ক্যাপসুল কিভাবে খোলা হবে, কিভাবে সংরক্ষণ করা হবে ও কিভাবে খাওয়ানো হবেসহ বিভিন্ন নির্দেশনা স্বাস্থ্যকর্মী ও সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, জেলার সাতটি উপজেলার অস্থায়ী ও স্থায়ী মোট এক হাজার ৭০৪টি কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এছাড়াও জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ ও মেলান্দহ উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের ৫৩৬টি সাব-ব্লকেও শিশুদের মাঝে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এসব কেন্দ্রে একযোগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি আরও জানান, সারা জেলায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রথম সারির সুপারভাইজার ২৯৯ জন, সরকারি কর্মচারী ৬৩৬ জন এবং তিন হাজার ৪০৮ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন সিভিল সার্জন।
কর্মশালায় মুক্ত আলোচনায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুল হক, উপ-সিভিল সার্জন ডা. রেজওয়ানা রশীদ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. রাফিয়া বিনতে রউফ, চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. কাউছারা, জেলা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান প্রমুখ।
সাংবাদিকদের মধ্যে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জাহাঙ্গীর সেলিম, মোস্তফা মনজু, মো. মোখলেছুর রহমান লিখন, মো. ইউসুফ আলী, এম. সুলতান আলম, ফজলে এলাহী মাকাম, শুভ্র মাহাদী, তানভীর আহমেদ হীরা, আসমাউল আসিফ, ইমরান মাহমুদ, মো. বাহাউদ্দিন প্রমুখ।
বাংলার চিঠি ডেস্ক : 


















