সমস্যা নয় সম্ভাবনার কথা শুনতে চাই : এমপি আবুল কালাম আজাদ

সভায় বক্তব্য রাখেন আবুল কালাম আজাদ এমপি। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, সমস্যার কথা আমরা সবাই জানি আমরা সম্ভাবনা কী আছে তা শুনতে চাই। আপনাদের গুড প্র্যাকটিস কী আছে তার বর্ণনা করুন। তিনি জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, রোগী ভর্তির বিভাগ, অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা, ডাক্তার, নার্সদের হাজিরা, ওষুধ সরবরাহসহ একেক করে ইস্যু ধরে কীভাবে এসব কার্যকর করা যায় তার পরিকল্পনা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

১৮ মার্চ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে দ্বিমাসিক সভায় অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আনোয়ার, স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক পরিচালক ডা. মোশায়েদুল ইসলাম, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মো. ছানোয়ার হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আক্তারুজ্জামান, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুম রেজা রহিম, জেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জাহাঙ্গীর সেলিম, জামালপুর পৌরসভার কাউন্সিলর সাইদা আক্তার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান।

সভাপতির বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ এমপি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিত্যক্ত ঘোষিত আউটডোর ভবন ত্যাগ করতে হবে। আগামীকাল সকালের মধ্যেই নবনির্মিত দুইতলা ভবন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করার নির্দেশ দেন ঠিকাদারকে। পাশাপাশি যে কোন একটি আবাসিক ভবন খালি করে আউটডোর চালু করার নির্দেশ দেন তিনি।

ডাক্তার, নার্সদের সেবার মান এবং সার্টিফিকেট বাণিজ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেন জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন। এ প্রেক্ষিতে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এমপি বলেন, আমি অভিযোগের জবাব শুনতে চাই না, কীভাবে সেবার মান উন্নত করা যায় সে পরামর্শ নিজেরাই তৈরি করেন। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে এরপরেও বঙ্গবন্ধুর ‘আমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে’ উদাহরণ দিয়ে সবাইকে আরও পরিশ্রম ও যত্নশীল হবার আহ্বান জানান।

সভাকক্ষে প্রবেশ করে যথাযথ সার্টিফিকেট না পাওয়া তুলশিরচরের বাসিন্দা জনৈক এক ভুক্তভোগী হাসপাতালের এক কর্মচারীর দিকে আঙ্গুল তুলে ঘুষের কথা উল্লেখ করলে এমপি আজাদ সহকারী পরিচালককে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

আলোচনায় আইসিইউ চালু করা, জনবলের সংকট নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ করা, হাসপাতাল অঙ্গন পরিচ্ছন্ন রাখাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়।

সভা শেষে কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদান ও ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে চারজন ডাক্তার ও একজন নার্সকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।