বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বশেফমুবিপ্রবি’র স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আজম এমপি। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম:

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেফমুবিপ্রবি) দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ২৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ৬ বছর পূর্ণ করে এবার ৭ম বছরে পদার্পণ করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। কর্মসূচিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আজম এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচির শুরুতে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আজম এমপিকে নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। পরে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করে শান্তির পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন বশেফমুবিপ্রবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

পরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আজম এমপি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দেশ এবং জনগণের কল্যাণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করার আহ্বান জানান। সভাপতির বক্তৃতায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ব্র্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবদুল মাননান, রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেন, ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. রাশিদুল ইসলাম, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান রিপন রায়, সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আল মামুন সরকার, ভূ-তত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান মো. নাজমুল হোসেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক, ফিশারিজ বিভাগের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ রফিকুল বারী, মির্জা আজম হলের প্রভোস্ট (ভারপ্রাপ্ত) পার্থ সারথি দাশ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ স্টাডিজ বিষয়ের প্রভাষক ইলিয়াছ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ চৌধুরী, অধুনালুপ্ত শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফিশারিজ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রুস্তম আলী ঠিকাদার, মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী দিদার পাশা, মাদারগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মো. ছানুয়ার হোসেন, মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. জিন্নাহ, বশেফমুবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মির্জা মো. আব্দুল হালিম, কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. আব্দুল মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এসএম ইউসুফ আলী।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক, প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন ও হলগুলোয় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানসূচির সবশেষে থাকছে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরি ভবনের ২য় তলা উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ ও নীচ তলা রেনোভেশন কাজের শুভ উদ্বোধনের পর মোনাজাতে অংশ নেন মির্জা আজম এমপি।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৭’ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার পর একই বছরের ২৮ নভেম্বর গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। এরপর প্রথম ব্যাচে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে চারটি অনুষদে চারটি বিভাগে ১২৮ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ প্রথম ওরিয়েন্টেশন এবং ১ এপ্রিল ক্লাস শুরুর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের সূচনা হয়।

‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৭’ গেজেট আকারে প্রকাশের দিন অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর প্রতি বছর ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়ে আসছে।