ইসলামপুরে ভুট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

ইসলামপুরের একটি ভুট্টা ক্ষেত। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের ইসলামপুরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলতি মৌসুমে ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। অল্প সময়ে কম খরচে কৃষকেরা লাভবান হওয়ায় ভুট্টা চাষের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম পুঁজি, ঝুঁকিহীন সেচ ও সার প্রয়োগের সুবিধা থাকায় কৃষকদের মাঝে ভুট্টা চাষের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে উপজেলার কুলকান্দি, বেলগাছা, সাপধরী, পাথর্শী, চিনাডুলী, পলবান্ধা, গাইবান্ধা, গোয়ালের চর, চর গোয়ালীনি, নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভুট্টা চাষে আশানুরূপ ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক।

উপজেলায় উৎপাদিত ভুট্টা চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহ করা হয় বলে জানা গেছে। একাধিক কৃষক জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উন্নত জাতের ভুট্টা চাষ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছেন তারা। বর্তমানে ভুট্টার ফলন ঘরে তুলতে কৃষক-কৃষাণী ব্যস্ত সময় পার করছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ভুট্টা ১ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিনে আবাদ করা হয়েছে। এতে ১৮ হাজার ৫৭৫ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ণয় করা হয়েছে। চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকগণ সহজে ভুট্টা চাষ করে অন্য ফসলের তুলনায় বেশি আয় করছে।

পলবান্ধা ইউনিয়নের চাষী লিপন মিয়া জানান, মাত্র ৩/৪ মাসের মধ্যে ঘরে তুলতে পারি। ভুট্টা আবাদে দু-একবারের বেশি পানি দিতে হয় না। এছাড়া একবিঘা জমিতে কম সার ও দশ থেকে বার হাজার ভুট্টার চারা রোপণ করা যায়। ফলন ভালো তাই তিনি দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন।

একই ইউনিয়নের ভুট্টা চাষি মালেক মন্ডল জানান, অল্প দিনে ভুট্টা তুলা যায়। ভুট্টা আবাদের পর পাট আবাদের চিন্তা করছি। এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস সবসময় খোঁজ খবর রাখে। প্রতিটি গাছে একবার দুইটা করে মোচা ধরে। প্রতি কেজি ভুট্টা ত্রিশ টাকায় বিক্রি করা যায়। এতে ভালো টাকা আয় করা সম্ভব।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অনেক এলাকায় ভুট্টা তুলতে কৃষক-কৃষাণী ব্যস্ত সময় পার করছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এল এম রেজোয়ান জানান, আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় ভুট্টা ফলন অনেক ভালো হয়েছে। চলতি বছর এর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কৃষকদের ভুট্টার দিকে যত্মবান হওয়ার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কমকর্তাগণ সব সময় নিয়োজিত আছেন। তাই চলতি বছরে ভুট্টা চাষিরা লাভবান হবে।