২০ ফেব্রুয়ারি জামালপুরে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: ‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান’- এই প্রতিপাদ্যকে লক্ষ্য করে জামালপুরে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা পর্যায়েল সাংবাদিকদের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার জেলায় তিন লাখ ৫২ হাজার ৩০৮ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১৯ ফেব্রুয়ারি জামালপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা ডা. নজরুল ইসলাম সভা কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালার সভাপতি জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস সাংবাদিকদের জানান, শিশুদের অপুষ্টি নিরাময়, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের মতো জামালপুরেও ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপিত হবে। কান্নারত শিশুদের এবং অসুস্থ শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল না খাওয়াতে সতর্ক করাসহ এই ক্যাম্পেইন সফল করতে ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রচারণাসহ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরও জানান, জেলায় এবার তিন লাখ ৫২ হাজার ৩০৮ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ৩৮ হাজার ৮৬ শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী তিন লাখ ১৪ হাজার ২২২ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জেলার সাতটি উপজেলার অস্থায়ী ও স্থায়ী মোট এক হাজার ৬৯২টি কেন্দ্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এছাড়াও জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ ও মেলান্দহ উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের ৫৫২টি সাব-ব্লকেও শিশুদের মাঝে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এসব কেন্দ্রে একযোগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

তিনি জানান, সারা জেলায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রথম সারির সুপারভাইজার ২৮৯ জন, সরকারি কর্মচারী ৬৫৯ জন এবং তিন হাজার ৩৮৪ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন।

কর্মশালায় মুক্ত আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ আবু আহাম্মেদ শাফী, সিনিয়র স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার বদরুল আলম, জুনিয়র স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান, জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক ও সিনিয়র জেলা তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, কবি ও সাংবাদিক সাযযাদ আনসারী, সাংবাদিক মোস্তফা মনজু, আনোয়ার হোসেন মিন্টু, ফজলে এলাহী মাকাম, আসমাউল আসিফ, তানভীর হীরা প্রমুখ। কর্মশালায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও টেলিভিশনের সাংবাদিকরা অংশ নেন।