ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, একজনকে সাতদিনের কারাদণ্ড মাদারগঞ্জে প্রয়াত যুবদলনেতা বুলবুলের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত ৯ ঘন্টা পর অপহৃতা বন্যাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার মাছ ধরার ঐতিহ্য বিএনপি ও শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় দুই নেতার সুস্থতা কামনায় জামালপুরে দোয়া মাহফিল জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ডিসিকে স্মারকলিপি মেলান্দহে পুষ্টি সমন্বয় কিমিটির দ্বি-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ইসলামপুরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর প্রধান শিক্ষক পলাতক সরিষাবাড়ীতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন, উদ্ধার করল পুলিশ

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মাঠের বাইরে আরো আট-দশগুণ মানুষ হবে : তথ্যমন্ত্রী

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মাঠের বাইরে আরো আট-দশগুণ মানুষ হবে।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে উপলক্ষ করে সারা চট্টগ্রাম জুড়ে ব্যাপক সাড়া জেগেছে, মানুষের মধ্যে অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করছি পলোগ্রাউন্ডে আমাদের জনসভায় মাঠ পূর্ণ করে মাঠের বাইরে আরো আট-দশগুণ মানুষ হবে ইনশাআল্লাহ। বাস্তবিক অর্থে এটিই হবে।’

মন্ত্রী ৩ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর রোববারের জনসভাস্থল পলোগ্রাউন্ড মাঠ আগাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন। জনসভার সার্বিক প্রস্তুতি এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক বলে জানান তিনি।

ড. হাছান বলেন, চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড অনেক বড় মাঠ, এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জনসভা করেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও জনসভা করেছেন। কানায় কানায় পূর্ণ জনসভা হয়েছে। অতীতেও মাঠ ছাড়িয়ে মানুষ বাইরে দাঁড়িয়েছে। আমরা যেভাবে সাড়া দেখতে পাচ্ছি, এবার কিন্তু মাঠের তুলনায় আট-দশ গুণ বেশি মানুষকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে।

কিছুদিন আগে এখানে যখন বিএনপি জনসভা করেছিল, মাঠের তিন ভাগের একভাগ পেছনে রেখে তারা মঞ্চ বানিয়েছিল আর সামনে যে মাঠ ছিল তার অর্ধেক পূর্ণ হয়েছিল, জানান তিনি।

জনসভার মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে আওয়ামী লীগ কি বার্তা দিতে চায় সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেহেতু জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছি, জনগণের সামনে হাজির হওয়া আমাদের দায়িত্ব। দেশ আগে কোথায় ছিল, এখন কোথায় গেছে, আমরা জনগণের জন্য কি করেছি, দেশকে আমরা কোথায় নিয়ে যেতে চাই – এগুলো জনগণের সামনে উপস্থাপন করা জনগণের দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জনগণের নেত্রী, তিনি সেই কথাগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরবেন।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণমানুষের দল, আমরা জনগণের জন্যই কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা গত চৌদ্দ বছরে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছেন। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে উন্নীত হয়েছে। দেশ মাথাপিছু আয়ে পাকিস্তানকে তো বহু আগেই ছাড়িয়েছে, ভারতেকেও ছাড়িয়ে গেছে। চট্টগ্রামে জনসভার পূর্বে প্রধানমন্ত্রী অনেকগুলো উন্নয়ন কর্মকান্ডের উদ্বোধন করবেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে উন্নতির সোপানে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আর স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। তাদের হাতে তো আমরা দেশটা তুলে দিতে পারি না। সেটাও আমরা জনগণের সামনে ব্যাখ্যা দেব।’

বিএনপি প্রসঙ্গে প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গতকালও বলেছেন নয়াপল্টনের সামনেই তাদের জনসভা হবে। আসলে তাদের উদ্দেশ্য জনসভা করা নয়, দেশে একটা গন্ডগোল লাগানো এবং দেশকে অস্থিতিশীল করা। তাদের আবেদন অনুযায়ী তাদের সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়া হয়। সেখানে না গিয়ে নয়াপল্টনে জনসভা হবে এটি বারবার ঘোষণা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে দেশে একটি গন্ডগোল লাগানো, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যেই তারা এটি বলছে। সরকার দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য কাউকে অনুমতি ও লাইসেন্স দিতে পারে না। তারা তো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, সেটি আমরা হতে দেব না।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি শ্লোগান দেয় ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ মানে বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যাও। অর্থাৎ আবার বাংলাভাই, শায়খ আবদুর রহমানের জমানায় নিয়ে যাও। আবার হাওয়া ভবন ও খোয়াব ভবন সৃষ্টি কর, পাঁচশ’ জায়গায় বোমা ফাটাও, দুর্নীতিতে দেশকে আবার পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বানাও। তাদের শ্লোগান অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে পারি না।’

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহম্মদ এমপি, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিম পেয়ারুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, একজনকে সাতদিনের কারাদণ্ড

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মাঠের বাইরে আরো আট-দশগুণ মানুষ হবে : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:৪৪:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মাঠের বাইরে আরো আট-দশগুণ মানুষ হবে।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে উপলক্ষ করে সারা চট্টগ্রাম জুড়ে ব্যাপক সাড়া জেগেছে, মানুষের মধ্যে অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করছি পলোগ্রাউন্ডে আমাদের জনসভায় মাঠ পূর্ণ করে মাঠের বাইরে আরো আট-দশগুণ মানুষ হবে ইনশাআল্লাহ। বাস্তবিক অর্থে এটিই হবে।’

মন্ত্রী ৩ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর রোববারের জনসভাস্থল পলোগ্রাউন্ড মাঠ আগাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন। জনসভার সার্বিক প্রস্তুতি এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক বলে জানান তিনি।

ড. হাছান বলেন, চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড অনেক বড় মাঠ, এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জনসভা করেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও জনসভা করেছেন। কানায় কানায় পূর্ণ জনসভা হয়েছে। অতীতেও মাঠ ছাড়িয়ে মানুষ বাইরে দাঁড়িয়েছে। আমরা যেভাবে সাড়া দেখতে পাচ্ছি, এবার কিন্তু মাঠের তুলনায় আট-দশ গুণ বেশি মানুষকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে।

কিছুদিন আগে এখানে যখন বিএনপি জনসভা করেছিল, মাঠের তিন ভাগের একভাগ পেছনে রেখে তারা মঞ্চ বানিয়েছিল আর সামনে যে মাঠ ছিল তার অর্ধেক পূর্ণ হয়েছিল, জানান তিনি।

জনসভার মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে আওয়ামী লীগ কি বার্তা দিতে চায় সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেহেতু জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছি, জনগণের সামনে হাজির হওয়া আমাদের দায়িত্ব। দেশ আগে কোথায় ছিল, এখন কোথায় গেছে, আমরা জনগণের জন্য কি করেছি, দেশকে আমরা কোথায় নিয়ে যেতে চাই – এগুলো জনগণের সামনে উপস্থাপন করা জনগণের দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জনগণের নেত্রী, তিনি সেই কথাগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরবেন।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণমানুষের দল, আমরা জনগণের জন্যই কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা গত চৌদ্দ বছরে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছেন। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে উন্নীত হয়েছে। দেশ মাথাপিছু আয়ে পাকিস্তানকে তো বহু আগেই ছাড়িয়েছে, ভারতেকেও ছাড়িয়ে গেছে। চট্টগ্রামে জনসভার পূর্বে প্রধানমন্ত্রী অনেকগুলো উন্নয়ন কর্মকান্ডের উদ্বোধন করবেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে উন্নতির সোপানে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আর স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। তাদের হাতে তো আমরা দেশটা তুলে দিতে পারি না। সেটাও আমরা জনগণের সামনে ব্যাখ্যা দেব।’

বিএনপি প্রসঙ্গে প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গতকালও বলেছেন নয়াপল্টনের সামনেই তাদের জনসভা হবে। আসলে তাদের উদ্দেশ্য জনসভা করা নয়, দেশে একটা গন্ডগোল লাগানো এবং দেশকে অস্থিতিশীল করা। তাদের আবেদন অনুযায়ী তাদের সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়া হয়। সেখানে না গিয়ে নয়াপল্টনে জনসভা হবে এটি বারবার ঘোষণা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে দেশে একটি গন্ডগোল লাগানো, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যেই তারা এটি বলছে। সরকার দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য কাউকে অনুমতি ও লাইসেন্স দিতে পারে না। তারা তো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, সেটি আমরা হতে দেব না।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি শ্লোগান দেয় ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ মানে বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যাও। অর্থাৎ আবার বাংলাভাই, শায়খ আবদুর রহমানের জমানায় নিয়ে যাও। আবার হাওয়া ভবন ও খোয়াব ভবন সৃষ্টি কর, পাঁচশ’ জায়গায় বোমা ফাটাও, দুর্নীতিতে দেশকে আবার পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বানাও। তাদের শ্লোগান অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে পারি না।’

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহম্মদ এমপি, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিম পেয়ারুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।