জামালপুরে এনএসভিসির উদ্যোগে জিবিভির পকেট গাইডের ধারণায়নে প্রশিক্ষণ

জামালপুরে জিবিভির পকেট গাইডের ধারণয়ন প্রশিক্ষণে বক্তব্য রাখেন ইকুইমান্ডোর জ্যেষ্ঠ গবেষণা কর্মকর্তা ব্রায়ান হেইলম্যান।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে প্রত্যেক উন্নয়নকর্মী বিশেষ করে মানবাধিকারকর্মীদের নির্দেশনামূলক সহায়িকা হিসেবে জিবিভি পকেট গাইডের উপর ধারণায়ণের লক্ষ্যে জামালপুরে দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ ৩১ অক্টোবর শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা। প্রশিক্ষণে প্রধান সহায়কের দায়িত্ব পালন করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত ইকুইমান্ডোর জ্যেষ্ঠ গবেষণা কর্মকর্তা ব্রায়ান হেইলম্যান।

ওয়ার্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন এনএসভিসি প্রকল্পের আওতায় ডিটিআরসিতে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, ওয়ার্ল্ড ভিশন এনএসভিসি প্রকল্পের জেন্ডার বিশেষজ্ঞ সুনীল মৃধা, জেন্ডার বিশেষজ্ঞ রুমা ইয়াসমিন প্রমূখ।

প্রশিক্ষণের প্রথমদিন পারিবারিক সহিংসতা বিষয়ে বিভিন্ন রোল প্লে করা হয়। শৈশবকালিন সহিংসতার স্মৃতিচারণ, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিভিন্ন পর্যায়ের সেবাদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী ও পকেট গাইড সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়।

প্রশিক্ষণের দ্বিতীয়দিন কার্যক্রমের উপর মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপন, কার্যক্রম বাস্তবায়নে সুযোগ ও বাধা বা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা, কর্মপরিকল্পনা তৈরিসহ জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে এবং পকেট গাইড অনুসরণের বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হবে। প্রশিক্ষণে এনএসভিসি প্রকল্পের সকল কর্মী এবং উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মীরা অংশ নেন।

উল্লেখ অস্ট্রেলিয়া সরকারের অস্ট্রেলিয়া এনজিও কর্পোরেশনর আর্থিক সহায়তায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ নিউট্রিশন সেনসেটিভ ভ্যালু চেইনস্ ফর স্মলহোল্ডার ফারমারস্ (এসএসভিসি) প্রকল্পটি উন্নয়ন সংঘের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে জামালপুর জেলার ৩টি উপজেলায় (জামালপুর সদর, ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা) বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি ২০ হাজার জন ক্ষুদ্র কৃষক ও তাদের পরিবারের নিয়ে কাজ করছে যার মধ্যে প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ জন নারী ও ৬ হাজার ৫০০ জন পুরুষ।

প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, প্রকল্পের সুবিধাভোগী পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পুষ্টি অবস্থার উন্নয়ন। এনএসভিসি প্রকল্প ক্ষুদ্র কৃষকদের সরকারি সেবাদানকারি বিভাগের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে সহযোগিতা করছে। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সাথে পরিচিত করছে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছে। আবার মানসম্পন্ন কৃষি উপকর সুলভ মূল্যে প্রাপ্তির জন্য বেসরকারি কৃষি উপকরণ উৎপাদনকারী/সরবরাহকারীদের সাথে কার্যকরী সম্পর্ক স্থাপন করতে সহযোগিতা করেছে। ফলে কৃষকদের কৃষি উৎপাদন পূর্বের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, পরিবারের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পরিবারে পুষ্টি অবস্থার উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। সেইসাথে প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের পুষ্টি ও লিঙ্গ সমতার সম্পর্ক বিষয়ে সচেতন করা চচ্ছে। ফলশ্রুতিতে, নারীদের ক্ষমতায়ন ঘটছে।