বিএনপি’র এমপিরা পদত্যাগ করলে সংসদ ভেঙে যাবে না : ওবায়দুল কাদের

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলে সংসদ ভেঙে যাবে না।

তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপির এমপিরা) পদত্যাগ করলে সংসদের কিছু যাবে আসবে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আসন্ন ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে ৩০ অক্টোবর রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা’র রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সভায় ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা কোনো পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি না। আমাদের সম্মেলনের তারিখ আগেই নির্ধারিত। এটা একটা নিয়মিত প্রক্রিয়া। বিএনপির সমাবেশ পাল্টাপাল্টি নয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে নেত্রী দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে উপ-কমিটি করা হবে। আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করে না। বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টিরকোনো বিষয় নেই। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন এবং অন্যান্য সম্মেলন নিয়মিত প্রক্রিয়া। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের সময় মিলে গেলে আমরা কী করব?

তিনি বলেন, বিএনপিরকোনো সভা সমাবেশে বাধা সৃষ্টি করেনি আওয়ামী লীগ। পরিবহনের লোকজন বিএনপিকে ভয় পায়। তাই তারা ধর্মঘট ডাকে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, জঙ্গিবাদ এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি ছাড়া বিএনপির সভা সমাবেশ অচল। সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। বিএনপি আগুন সন্ত্রাস করতে আসুক তা জনগনকে নিয়ে প্রতিহত করা হবে। আগুন সন্ত্রাস করতে দেয়া হবে না।

তিনি বলেন,শেখ হাসিনার দয়ায় মুক্তি পেয়ে বেগম জিয়া বাসায় আছেন। বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য তাদের দলের নেতাকর্মীরা কোনো সভা সমাবেশ করতে পারেনি।

এখনথেকে শেখ হাসিনা ঢাকার বাইরে সমাবেশ করবেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাসে দুটি করে সম্মেলনে তিনি সশরীরে উপস্থিত থাকবেন। করোনার কারণে তিনি এতদিন সশরীরেযেতে পারেননি। তিনি ভার্চুয়ালে সব কাজ সম্পন্ন করেছেন।

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সম্মেলন হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম মেয়াদোত্তীর্ণ সংগঠনের সম্মেলন করা হবে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, আলোচনা করে তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান,মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহামুদ স্বপন ও এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড.আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য, শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।