টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ভারতকে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথ মসৃণ করলো দক্ষিণ আফ্রিকা

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ বোলারদের পর ব্যাটারদের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে ৩০ অক্টোবর নিজেদের ও দিনের তৃতীয় ম্যাচে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বল হাতে লুঙ্গি এনগিদি ৪টি ও ওয়েন পারনেল ৩ উইকেট নেন। ব্যাটিংয়ে জোড়া হাফ-সেঞ্চুরি করেন আইডেন মার্করাম ও ডেভিড মিলার। মার্করাম ৫২ রানে থামলেও অনবদ্য ৫৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন মিলার।

এই জয়ে ৩ খেলায় ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে সেমির পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে ভারত। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে ৩ ও পাকিস্তানের ২ পয়েন্ট নিয়ে পরের দু’টি স্থানে আছে।

পার্থ স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে ভারত। বাউন্সি পিচে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার লুঙ্গি এনগিদির তোপের মুখে পড়ে ভারতের টপ-অর্ডার। নবম ওভারে স্কোর বোর্ডে ৪৯ রান উঠতেই প্যাভিলিয়নে ফিরেন পাঁচ ব্যাটার।

অধিনায়ক রোহিত শর্মা ১৫, লোকেশ রাহুল ৯, বিরাট কোহলি ১২ ও হার্ডিক পান্ডিয়া ২ রান করে এনগিদির শিকার হন। রানের খাতা খোলার আগেই দীপক হুদাকে বিদায় দেন এনরিচ নর্টি।

তবে সতীর্থদের হারালেও ভারতের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। ষষ্ঠ উইকেটে দীনেশ কার্তিক নিয়ে দলের স্কোর ১শতে নিয়ে যান সূর্য। ৩০ বলে টি-টোয়েন্টিতে ১১তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।

সূর্যের হাফ-সেঞ্চুরি পর ভারতের ষষ্ঠ উইকেটে পতন ঘটান ওয়েন পারনেল। টেস্ট মেজাজে থাকা কার্তিক ১৫ বলে ৬ রান করেন। ষষ্ঠ উইকেটে কার্তিক-সূর্য ৪০ বলে ৫২ রান যোগ করেন।

১৯তম ওভারে পারনেলের শিকার হওয়ার আগে ৪০ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৮ রান করেন সূর্য। তার হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৩ রানের ছোট পুঁিজ পায় ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার এনগিদি ২৯ রানে ৪ ও পারনেল ১৫ রানে ৩ উইকেট নেন।

১৩৪ রানের টার্গেটে দ্বিতীয় ওভারেই ২ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ডি কককে ১ ও গত ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা রিলি রুশোকে রানের খাতা খোলার আগেই শিকার করেন ভারতের বাঁ-হাতি পেসার অর্শদ্বীপ সিং।

পাওয়ার-প্লের শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ সামি। ১০ রান করে বিদায় নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। ৬ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ২৪।

এ অবস্থা থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে খেলায় ফেরান ডেভিড মিলার ও আইডেন মার্করাম। ৬০ বলে ৭৬ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের পথ সহজ করেন তারা।

দলীয় ১০০ রানে মিলার-মার্করাম জুটি ভাঙ্গেন পান্ডিয়া। টি-টোয়েন্টিতে নবম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৪১ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫২ রান করেন মার্করাম।

মার্করাম যখন ফিরেন তখন ২৬ বলে ৩২ রান দরকার পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার। ২ বল বাকী থাকতে প্রোটিয়াদের জয় নিশ্চিত করেন মিলার।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে ৪৬ বলে অনবদ্য ৫৯ রান করেন মিলার। ৩টি করে চার-ছক্কা মারেন তিনি। ভারতের অর্শদ্বীপ ২৫ রানে ২ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন এনগিদি।

আগামী ২ নভেম্বর নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে ভারত। ৩ নভেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা।