সৌদি আরব প্রথম বিদেশী হজযাত্রীদের গ্রহণ করলো মহামারীর পর

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ করোনাভাইরাস মহামারীর পর সৌদি আরব ৪ জুন হজযাত্রীদের প্রথম ব্যাচকে স্বাগত জানিয়েছে। মহামারীর কারণে কর্তৃপক্ষ বার্ষিক এই ধর্মাচার অনুষ্ঠান কঠোরভাবে সীমিত করতে বাধ্য হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ইন্দোনেশিয়া থেকে দলটি মদিনা শহরে অবতরণ করেছে। আগামী মাসে হজের প্রস্তুতির জন্য আসন্ন কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দক্ষিণের পবিত্র শহর মক্কার উদ্দেশে তারা যাত্রা করবে। খবর এএফপি’র।

সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের মোহাম্মদ আল-বিজাভি রাষ্ট্র পরিচালিত আল-এখবারিয়া চ্যানেলকে বলেন, “আজ আমরা ইন্দোনেশিয়া থেকে এই বছরের হজযাত্রীদের প্রথম দলটিকে পেয়েছি, এরপর থেকে মালয়েশিয়া ও ভারত থেকে ফ্লাইট আসতে থাকবে।” তিনি সৌদি আরবকে তাদের থাকার জন্য “সম্পূর্ণ প্রস্তুত” হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, “আজ আমরা মহামারীজনিত কারণে দুই বছরের বাধার পরে, সৌদি’র বাহির থেকে আল্লাহর অতিথিদের পেয়ে খুশি।”

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ একটি, সামর্থ্যবান মুসলমানদের জীবনে অন্তত একবার হজ করা আবশ্যক। এই হজ বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশগুলির মধ্যে অন্যতম। ২০১৯ সালে প্রায় ২.৫ মিলিয়ন মুসলমান হজব্রত পালন করেছিলেন। কিন্তু ২০২০ সালে মহামারী শুরুর পরে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছিল যে, তারা শুধুমাত্র ১,০০০ হজযাত্রীকে হজে অংশ নিতে দেবে। পরের বছর, তারা ওই সংখ্যা বাড়িয়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত সৌদি নাগরিক এবং বাসিন্দাসহ মোট ৬০,০০০ জনকে সম্পূর্ণ টিকা দিয়ে হজে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়। সে বছর বিদেশী হজযাত্রীদের বাদ দিলে, বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা যারা, স্বভাবত:ই হজে অংশ নেওয়ার নিয়তে সারা বছরে হজের অর্থ সঞ্চয় করেছেন, তাদের মধ্যে গভীর হতাশা সৃষ্টি হয়। এরপর গত এপ্রিলে, সৌদি আরব দেশের অভ্যন্তর এবং বাহির থেকে ১০ লাখ মুসলমানকে চলতি বছরের জুলাইয়ে অনুষ্ঠেয় হজে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

মহামারীর আগে, মুসলিম হজযাত্রীরাই সৌদি আরবের প্রধান রাজস্ব উপার্জনকারী ছিল, যাদের থেকে বছরে তারা প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার আয় করত।

সৌদি হজ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বছরের হজযাত্রা ৬৫ বছরের কম বয়সী টিকাপ্রাপ্ত মুসলমানদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। সৌদি আরবের বাইরে থেকে যারা আসছেন, তাদের অবশ্যই হজ ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তাদের ভ্রমণের ৭২ ঘন্টার মধ্যে নেওয়া পরীক্ষা থেকে কোভিড -১৯ নেতিবাচক ফলাফল জমা দিতে হবে।