জামালপুরে আর্সেনিক পরীক্ষাকরণ বিষয়ক দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ

প্রশিক্ষণে বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন।ছবি:বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরে পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পের আওতায় ৭ ফেব্রুয়ারি আর্সেনিক পরীক্ষাকরণ বিষয়ক দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। উন্নয়ন সংঘের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ডিটিআরসিতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন।

উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সদর উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদুর রহমান প্রমুখ।

প্রশিক্ষণে সহায়কের দায়িত্ব পালন করেন উন্নয়ন সংঘের জেলা ব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র সরকার, প্রকল্পের প্রশিক্ষক হেলাল উদ্দিন, সমীর কুমার পান্ডে ও আরজু মিয়া।

প্রশিক্ষণে পরীক্ষকদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দান করানো হয়। মোট ৩০ ব্যাচ প্রশিক্ষণে ৯৬০ জন নলকূপ পরীক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত স্বেচ্ছোসেবক, মেকানিক্স ও ইউপি সদস্যগণ অংশগ্রহণ করবেন। প্রশিক্ষণ শেষে তারা জামালপুরে ১ লাখ ৭০ হাজার এবং শেরপুরে ১ লাখ ৩০ হাজার নলকূপের আর্সেনিক পরীক্ষা করবেন। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেককে একটি করে পাটের তৈরি ব্যাগ ও অন্যান্য পরীক্ষা সামগ্রী দেওয়া হয়।

প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে আর্সেনিক পরীক্ষা সামগ্রী তুলে দেন জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন।ছবি:বাংলারচিঠিডটকম

প্রশিক্ষণ সূত্র জানায়, সরকার সবার জন্য নিরাপদ ও সুপেয় পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশের ৫৪টি জেলায় ৩৩৫টি উপজেলায় আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসনে সরকারি, বেসরকারি এবং পরিবার পর্যায়ে স্থাপিত নলকূপ পরীক্ষা করে আর্সেনিকযুক্ত নলকূপ চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আর্সেনিকযুক্ত নলকূপগুলো চিহ্নিত করে পরবর্তী সরকারিভাবে আর্সেনিকমুক্ত সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

প্রকল্পের মূল বাস্তবায়নকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাথে অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়ন সংঘ প্রকল্প বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে জামালপুর ও শেরপুর জেলার ১২টি উপজেলার ১২০টি ইউনিয়নে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রকল্প এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে ইউপি প্রতিনিধি, একজন করে মেকানিক এবং ছয়জন করে পুরুষ-মহিলা নির্বাচন করা হয়েছে।