চলচ্চিত্র একটি প্রজন্মের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, চলচ্চিত্র একটি প্রজন্মের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, অনেক চলচ্চিত্র রয়েছে যেগুলো শিক্ষনীয় এবং ব্যক্তিজীবনেও দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বিংশতিতম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ১৫ জানুয়ারি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আয়োজনগুলোর মধ্যে একটি মর্যাদাপূর্ণ উৎসব যা আমাদের ইতিবাচক চলচ্চিত্র চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

ড. মোমেন বলেন, এ চলচ্চিত্র উৎসব দেশ-বিদেশের তরুণ ও প্রতিভাবান চলচ্চিত্র নির্মাতাদেরকে বর্তমান বিশ্বের চলচ্চিত্রের শৈল্পিক ধারার সাথে সংযোগ ঘটাতে সহায়তা করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিংশতিতম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যতম ভেন্যু হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফরেন সার্ভিস একাডেমি অডিটোরিয়ামকে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়ে বলেন, ফরেন সার্ভিস একাডেমি অডিটোরিয়ামে এবারের উৎসবের বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, বিশ্বের চলচ্চিত্র শিল্পগুলো যেভাবে অনেক উত্থান-পতনের মধ্যদিয়ে এগিয়েছে, একইভাবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প সফলতা ব্যর্থতার মধ্যদিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইতিবাচক চলচ্চিত্র চর্চার ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে আমাদের সরকার সবসময়ই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

“নান্দনিক চলচ্চিত্র, মনশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ” স্লোগানকে ধারণ করে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের জন্য তিনি রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ এবং চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উৎসবের পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল।

রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত বিংশতিতম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ৭০ টি দেশের ২২৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

বরাবরের মতো এবারের আয়োজনেও এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেক্টিভ বিভাগ, ট্রিবিউট, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড এ্যাংগেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন ফিল্মস, ওইমেন ফিল্মস, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট এন্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মস এই দশটি বিভাগে চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে বলে আয়োজকদের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে।