জামালপুরে পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পের প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ

প্রশিক্ষণে বক্তব্য রাখেন জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সুলতান মাহমুদ।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরে পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পের আওতায় ২২ ডিসেম্বর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। উন্নয়ন সংঘের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ডিটিআরসিতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সুলতান মাহমুদ।

উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. হারুনউর রশিদ, দেওয়ানগঞ্জের উপসহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান, সদর উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদুর রহমান, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, প্রকল্পের জ্যেষ্ঠ প্রশিক্ষক মুর্শেদ ইকবাল প্রমুখ।

প্রশিক্ষণে সহায়কের দায়িত্ব পালন করেন মো. শরিফ উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের জেলা ব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র সরকার।

প্রশিক্ষণে উন্নয়ন সংঘের ৯ জন প্রশিক্ষক, জেলা ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রতিনিধিরাসহ মোট ৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষকগণ মাঠ পর্যায়ে নলকূপ পরীক্ষকদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দান করাবেন। মোট ৩২ ব্যাচ প্রশিক্ষণে ৯৬০ জন নলকূপ পরীক্ষক অংশগ্রহণ করবেন। পরবর্তীতে তারা ৩ লক্ষাধিক নলকূপের আর্সেনিক পরীক্ষা করবেন।

প্রশিক্ষণ সূত্র জানায়, সরকার সবার জন্য নিরাপদ ও সুপেয় পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশের ৫৪টি জেলায় ৩৩৫টি উপজেলায় আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসনে সরকারি, বেসরকারি এবং পরিবার পর্যায়ে স্থাপিত নলকূপ পরীক্ষা করে আর্সেনিকযুক্ত নলকূপ চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আর্সেনিকযুক্ত নলকূপগুলো চিহ্নিত করে পরবর্তী সরকারিভাবে আর্সেনিকমুক্ত সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

প্রকল্পের মূল বাস্তবায়নকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাথে অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়ন সংঘ প্রকল্প বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে জামালপুর ও শেরপুর জেলার ১২টি উপজেলার ১২০টি ইউনিয়নে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রকল্প এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে ইউপি প্রতিনিধি, একজন করে মেকানিক এবং ছয়জন করে পুরুষ-মহিলা নির্বাচন করা হয়েছে। এদের জন্যে থাকছে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও।