যমুনায় নিরাপত্তাকর্মীকে হুমকি-ধামকির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

যমুনা সার কারখানা

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত যমুনা সারকারখানার নিরাপত্তাকর্মীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন কারখানার বাণিজ্যিক বিভাগের এমপিআইসি (ভাণ্ডার) শাখার এলডিএ এবং অপরজন হিসাব ও অর্থ বিভাগের হিসাব সহকারী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। ২ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত দুটি পত্র গণমাধ্যমের হাতে আসে।

কারখানার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, করোনাকালীন বিশেষ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ অমান্য করে কারখানার এমপিআইসি (ভাণ্ডার) শাখার এলডিএ আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং হিসাব ও অর্থ বিভাগের হিসাব সহকারী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিভিন্ন সময় কলোনির (আবাসিক) গেটে ভ্যান নিয়ে চলাচল করেন। এ ঘটনায় সংশিষ্ট নিরাপত্তাকর্মীরা গত ১১ আগস্ট তাদের সতর্ক করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের হুমকি-ধামকিসহ অসদাচরণ করেন। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) সাইফুল ইসলাম কেন তাদের চাকরি হতে কেন বরখাস্ত করা হবে না- মর্মে কারণ দর্শানো নোটিশ দেন। (যার সূত্র নং জেএফসিএল/প্রশাসন/এস-৫৩২/৩৯৪৩ ও এস-৪৯৪/৩৯৪২)। এদিকে নোটিশ প্রাপ্তির পর জবাব দিলে কর্তৃপক্ষের সন্তোষজনক না হলে হিসাব ও অর্থ বিভাগের হিসাব কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামকে সভাপতি করে ৪ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়।

এব্যাপারে কারখানার সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, নিরাপত্তাকর্মীদের সাথে অসদাচরণ বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ২৩ এর ৪ (ক) ও ৪ (ছ) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অভিযুক্ত দুইজন সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় গত ২৩ আগস্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রতিবেদন পেলে স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

অভিযুক্ত একজন আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি কারখানার কলোনির গেটে ভ্যানচালকের সাথে কথা বলছিলাম, এ বিষয়টিই নিরাপত্তাকর্মীদের সাথে অসদাচরণ বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এটা তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপূর্ণ ষড়যন্ত্র বলে তিনি দাবি করেন।