ঢাকা ০২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ তহবিল চালু ঝিনাইগাতীতে পানিতে নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার অধিকার রক্ষায় শেরপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত জামালপুরে বিদ্যুৎ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামে ওয়ারেছ আলী মামুন সংবর্ধিত নদী ভাঙনের কবল থেকে মসজিদ ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে বকশীগঞ্জে মানববন্ধন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সভা করেছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন জামাল পাশা, শাহেদ আলী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ব্যস্ততা চলছে মাদারগঞ্জের প্রতিমাশিল্পীদের, ২৭ মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি দেওয়ানগঞ্জে উপহারের বেশির ভাগ ঘরের দরজায় ঝুলছে তালা

মেলান্দহে ৫০ কোটি টাকায় হবে ধান মজুদের সাইলো, একনেকে অনুমোদিত

মির্জা আজম এমপি

মির্জা আজম এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর জেলার উন্নয়নের রূপকার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় এবার জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলাবাসী পেতে যাচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ধান মজুদের সাইলো। এই সাইলো নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

৮ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে সারাদেশে প্রতিটি পাঁচ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৩০টি সাইলো নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৪০০ কোটি ২২ লাখ টাকার একটি প্রকল্পও রয়েছে। এই ৩০টি সাইলোর তালিকায় জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার নামও রয়েছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ধান ধান ঝাড়াই, বাছাই, শুকানো, সংরক্ষণ, আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ আধুনিক ধানের সাইলো নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সরকারি খাদ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির অভিযোজন ঘটবে। এসব সাইলোতে কীটনাশকবিহীন খাদ্য মজুদ ব্যবস্থা দৃঢ় করা যাবে। সাইলোতে দুই থেকে তিন বছর শস্যের পুষ্টিমান বজায় রাখা, আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মজুদ শস্যের মান নিয়ন্ত্রণ করা এবং নিরাপদ ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাদ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এসব সাইলো নির্মাণ করা হলে সারা বছর কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার সুযোগ সৃষ্টি হবে। কৃষক সহজেই সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে উৎসাহিত হবে এবং উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য পাবে। সূত্রটি আরও জানায়, এছাড়াও যেকোনো দুর্যোগের মুহূর্তে দেশের মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা আরও নিশ্চিত হবে। প্রতিটি সাইলোতে ট্রাক ও বাল্ক ওজন যন্ত্র, কনভেয়িং, বাকেট এলিভেটর সিস্টেম সংযোজন থাকবে। সাইলোর সিভিল ফাউন্ডেশন, মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন স্থাপনসহ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কথা রয়েছে।

একনেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ধানের সাইলো নির্মাণ প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়ায় মেলান্দহ উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি। কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা এবং মজুদ রাখার জন্য আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই সাইলো নির্মাণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জামালপুর জেলাবাসীও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ তহবিল চালু

মেলান্দহে ৫০ কোটি টাকায় হবে ধান মজুদের সাইলো, একনেকে অনুমোদিত

আপডেট সময় ১০:২৫:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১
মির্জা আজম এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর জেলার উন্নয়নের রূপকার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় এবার জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলাবাসী পেতে যাচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ধান মজুদের সাইলো। এই সাইলো নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

৮ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে সারাদেশে প্রতিটি পাঁচ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৩০টি সাইলো নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৪০০ কোটি ২২ লাখ টাকার একটি প্রকল্পও রয়েছে। এই ৩০টি সাইলোর তালিকায় জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার নামও রয়েছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ধান ধান ঝাড়াই, বাছাই, শুকানো, সংরক্ষণ, আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ আধুনিক ধানের সাইলো নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সরকারি খাদ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির অভিযোজন ঘটবে। এসব সাইলোতে কীটনাশকবিহীন খাদ্য মজুদ ব্যবস্থা দৃঢ় করা যাবে। সাইলোতে দুই থেকে তিন বছর শস্যের পুষ্টিমান বজায় রাখা, আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মজুদ শস্যের মান নিয়ন্ত্রণ করা এবং নিরাপদ ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাদ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এসব সাইলো নির্মাণ করা হলে সারা বছর কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার সুযোগ সৃষ্টি হবে। কৃষক সহজেই সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে উৎসাহিত হবে এবং উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য পাবে। সূত্রটি আরও জানায়, এছাড়াও যেকোনো দুর্যোগের মুহূর্তে দেশের মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা আরও নিশ্চিত হবে। প্রতিটি সাইলোতে ট্রাক ও বাল্ক ওজন যন্ত্র, কনভেয়িং, বাকেট এলিভেটর সিস্টেম সংযোজন থাকবে। সাইলোর সিভিল ফাউন্ডেশন, মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন স্থাপনসহ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কথা রয়েছে।

একনেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ধানের সাইলো নির্মাণ প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়ায় মেলান্দহ উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি। কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা এবং মজুদ রাখার জন্য আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই সাইলো নির্মাণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জামালপুর জেলাবাসীও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।