জমে উঠেছে দেওয়ানগঞ্জ পৌর নির্বাচন

দেওয়ানগঞ্জে প্রচারণায় ব্যস্ত মেয়র প্রার্থীরা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

২৮ ফেব্রুয়ারি ৫ম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন। রাত দিন ঘুম ও বিশ্রামকে তোয়াক্কা না করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী। ভোট চাইতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের নিয়ে ঘুম হারাম অবস্থায় চলছে প্রচার প্রচারণা। ভোটের দিন যতই ঘুনিয়ে আসছে ততই বাড়েছে প্রার্থী ও সমর্থকদের ব্যস্ততা। রাতদিন চলছে নির্বাচনী প্রচার ও কর্মীসভা।

প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে নিজেদের গুনা গুন ও উন্নয়ন তুলে ধরছেন প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা। প্রতিটি পাড়ায় মহল্লায় ও চা-খানায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আলোচনা ঝড়। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে এবারই প্রথম ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন- ইভিএম এ ভোট গ্রহণ হবে।

আরও পড়ুন : স্থগিত হলো দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন

পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন থাকলে ও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত নৌকার প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। বর্তমান ৪ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পুরুষ ৪০ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে।

পৌর এলাকায় অলি-গলি ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টার ও ব্যানারে। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় শেষ হচ্ছে প্রচার প্রচারণা। তাই শেষ মুহূর্তে ভোটারদের কাছে যাওয়াই যেনো একমাত্র কাজ হয় দাঁড়িয়েছে প্রার্থীদের। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য ইস্তিয়াক হোসেন দিদার উইমেন্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, মোফাজ্জল মিঞা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ, লাইলী মজনু স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাতা, প্রশিফস লাতাতাইলী প্রতিবন্ধি স্কুলের প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠানের দাতা ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের জমিদাতা ফারিন হোসেন দলীয় নেতাকর্মী ও মহিলা আওয়ামী লীগ যুব মহিলা লীগ নিয়ে করছেন গণসংযোগ। তিনি বিজয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী।

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র শাহনেওয়াজ শাহান শাহ ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী তিনি। ২০১৬ সালে দলীয় প্রার্থী হিসাবে নৌকাপ্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পৌরসভাকে এ গ্রেডে উন্নত করেছেন। পৌর এলাকার পাড়া মহল্লায় রাস্তা ও ড্রেইন নির্মাণ, পৌরবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা, বয়স্ক, বিধবা ও মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান, শহরের সড়কে বিদ্যুতের আলোর পাশাপাশি ডিজেল চালিত জেনারেটরের মাধ্যমে আলোয় আলোকিত, ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ভাসমান ব্রীজ নির্মাণ, পৌরসভা সিসি ক্যামেরার আওতাসহ নানা উন্নয়নে তিনি জয়ের আশাবাদী পুনরায় নির্বাচিত হলে আপনাদের সেবক হয়ে পৌর নাগরীক সেবা নিশ্চিত করবো।

অন্যদিকে সমানভাবে প্রতিটি ঘরে ঘরে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র শেখ মোহাম্মদ নুরুন্নবী অপু। তিনি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী আলোচনা সভা ও মতবিনিময় করছেন। ২০১৬ সালে খণ্ডকালিন দলীয় প্রার্থী হয়ে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়ে তার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরছেন ভোটারদের কাছে। তার জন প্রিয়তা থাকায় বিজয় লাভ করবেন বলে জানান তার সমর্থক ও কর্মী।

বসে নেই বিএনপি দলীয় প্রার্থী সাদেক আকতার নেওয়াজী। প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। ধানের শীর্ষ প্রর্তীক বিজয় নিশ্চিত করতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী নিরলসভাবে কাজ করছেন, প্রচার প্রচারণা ও ভোট প্রার্থনা করেছেন সাবেক এমপি এম রশিদ্দুজ্জামান মিল্লাত। আওয়ামী লীগের মধ্য স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় বিজয়ের আশাবাদী তিনি।

মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরাও তাদের কর্মী-সমর্থক নিয়ে নানাভাবে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্র ১২টি বুর্থ সংখ্যা ৯৪ মোট ভোটার ৩০ হাজার ১৩২। পুরুষ ১৪ হাজার ৬৮৫ মহিলা ১৫ হাজার ৪৪৭ কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হবে।