ঢাকা ০১:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ একনেকে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন এই মুহূর্তে রাজনৈতিক ঐক্য জরুরি : মির্জা ফখরুল ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি সহ অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক দলের আবেদন কমিশনে মাদারগঞ্জে ১২৮ জনকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দিলো মোজাম্মেল মমতাজ ফাউন্ডেশন জামালপুর রেলওয়ে পুলিশের অভিযানে ৫৮টি টিকিটসহ দুই টিকিট কালোবাজারি গ্রেপ্তার জামালপুরে বৈশাখী লোকনাট্য উৎসব শুরু : ধুয়া গানের আসরে মুগ্ধ দর্শক শ্রোতা গণঅধিকার পরিষদ বকশীগঞ্জ শাখার আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ রোবডোজার গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের নতুন যুদ্ধ যন্ত্র ট্রাম্পের আমলে অতি ধনী ও টেক জায়ান্টদের ওপর কর আরোপ থেমে গেছে

বিল্ডিং ঘরে থাকমু এডেই বড় পাওয়া

বকশীগঞ্জের লাউচাপাড়া গ্রামে সরকারি ঘরের সামনে আব্দুল আওয়াল ও তার পরিবার। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সরকারি ঘর। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

‘জীবনে কল্পনাও করি নাই, বিল্ডিং ঘরো থাহার সুযোগ পামু, শেখের বেটি হাসিনা এই আশা পুরা করছে, বিল্ডিং ঘরে থাকমু এডের চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হবো’ এভাবেই বলছিলেন ভূমিহীন ও গৃহহীন আবদুল আওয়াল। ষাটোর্ধ্ব আওয়াল ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের লাউচাপড়া ডুমুরতলা এলাকায় রাস্তার উপর একটি ঝুপড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে রাত কাটাতেন।

আওয়ালের ৫ সদস্যের পরিবারের মানবেতর জীবন যাপন ও রাস্তার উপর থাকার খবর জানতে পেয়ে ছুটে যান বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা।

আবদুল আওয়াল পরিবারের এমন দুরবস্থা দেখে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা।

সেই আওয়াল ও তার পরিবারের ঠাই হয়েছে লাউচাপড়া এলাকায় সরকারি ঘরগুলোতে। শুধু আউয়ালই নয় ১৪২টি পরিবারের চিত্র একই। যারা দিন আনে দিন খায়, এমনকি ভাঙা ঘর, ঝুপড়িতে, অন্যের বাড়িতে থাকতেন তারাই এখন স্বপ্নের বাড়ি স্বপ্ন নীড়ে থাকার জায়গা পেয়েছেন। এসব ঘর পাওয়া ভূমিহীন পরিবারের সাথে কথা বললে তারা জানান, এটা আমাদের জন্য কল্পনার চেয়েও অনেক বড় পাওয়া।

বকশীগঞ্জের লাউচাপাড়া গ্রামে সরকারি ঘরের সামনে আব্দুল আওয়াল ও তার পরিবার। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

খোঁজ নিয়ে জানা ঘেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জামালপুরের বকশীগঞ্জে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার হিসেবে খাস জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে সরকারি ঘর। এতে করে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন উপজেলার ১৪২ পরিবার।

উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে ঘর নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় প্রতিনিয়ত কাজের মান তদারকি করেন ইউএনও নিজেই।

‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ স্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন অর্থাৎ যাদের জমিও নেই ঘরও নেই তাদের পুনর্বাসনের জন্য এসব ঘর নির্মাণ করা হয়।

উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১৪২টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এই ঘরের সুবিধা পাবেন। ২ শতাংশ খাস জমিতে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষবিশিষ্ট আধাপাকা ঘরের সাথে বারান্দা, রান্না ঘর ও সংযুক্ত টয়লেটসহ নির্মাণ কাজ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা জানান, ১৪২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে যাছাই বাছাই করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় এসব ভূমিহীনদের জন্য খাস জমিতে ঘর নির্মাণ করা হয়। তিনি আরো জানান, ২৩ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘরগুলো উদ্বোধনের পর উপহার হিসেবে গৃহহীনদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ

বিল্ডিং ঘরে থাকমু এডেই বড় পাওয়া

আপডেট সময় ০৬:৫৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১
ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সরকারি ঘর। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

‘জীবনে কল্পনাও করি নাই, বিল্ডিং ঘরো থাহার সুযোগ পামু, শেখের বেটি হাসিনা এই আশা পুরা করছে, বিল্ডিং ঘরে থাকমু এডের চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হবো’ এভাবেই বলছিলেন ভূমিহীন ও গৃহহীন আবদুল আওয়াল। ষাটোর্ধ্ব আওয়াল ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের লাউচাপড়া ডুমুরতলা এলাকায় রাস্তার উপর একটি ঝুপড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে রাত কাটাতেন।

আওয়ালের ৫ সদস্যের পরিবারের মানবেতর জীবন যাপন ও রাস্তার উপর থাকার খবর জানতে পেয়ে ছুটে যান বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা।

আবদুল আওয়াল পরিবারের এমন দুরবস্থা দেখে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা।

সেই আওয়াল ও তার পরিবারের ঠাই হয়েছে লাউচাপড়া এলাকায় সরকারি ঘরগুলোতে। শুধু আউয়ালই নয় ১৪২টি পরিবারের চিত্র একই। যারা দিন আনে দিন খায়, এমনকি ভাঙা ঘর, ঝুপড়িতে, অন্যের বাড়িতে থাকতেন তারাই এখন স্বপ্নের বাড়ি স্বপ্ন নীড়ে থাকার জায়গা পেয়েছেন। এসব ঘর পাওয়া ভূমিহীন পরিবারের সাথে কথা বললে তারা জানান, এটা আমাদের জন্য কল্পনার চেয়েও অনেক বড় পাওয়া।

বকশীগঞ্জের লাউচাপাড়া গ্রামে সরকারি ঘরের সামনে আব্দুল আওয়াল ও তার পরিবার। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

খোঁজ নিয়ে জানা ঘেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জামালপুরের বকশীগঞ্জে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার হিসেবে খাস জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে সরকারি ঘর। এতে করে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন উপজেলার ১৪২ পরিবার।

উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে ঘর নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় প্রতিনিয়ত কাজের মান তদারকি করেন ইউএনও নিজেই।

‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ স্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন অর্থাৎ যাদের জমিও নেই ঘরও নেই তাদের পুনর্বাসনের জন্য এসব ঘর নির্মাণ করা হয়।

উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১৪২টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এই ঘরের সুবিধা পাবেন। ২ শতাংশ খাস জমিতে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষবিশিষ্ট আধাপাকা ঘরের সাথে বারান্দা, রান্না ঘর ও সংযুক্ত টয়লেটসহ নির্মাণ কাজ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা জানান, ১৪২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে যাছাই বাছাই করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় এসব ভূমিহীনদের জন্য খাস জমিতে ঘর নির্মাণ করা হয়। তিনি আরো জানান, ২৩ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘরগুলো উদ্বোধনের পর উপহার হিসেবে গৃহহীনদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।