যমুনা সার কারখানায় কর্মরত অবস্থায় রসায়নবিদের রহস্যজনক মৃত্যু

যমুনা সার কারখানা

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিস্থ যমুনা সার কারখানার (জেএলসিএল) উপ-প্রধান রসায়নবিদ (কারিগরি) শহিদুল ইসলামের (৫৪) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ২ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে কারখানায় কর্মরত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটি হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বলছে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিলেও ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।

জেএলসিএল সূত্র জানায়, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার খামারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম যমুনা সার কারখানায় প্রতিষ্ঠার শুরুতেই নিয়োগপ্রাপ্ত হন। সর্বশেষ তিনি কারিগরি বিভাগের উপ-প্রধান রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২ জানুয়ারি রাত ১১টায় কারখানায় ঢুকে তিনি নিজ দপ্তরে কাজ শুরু করেন। ৩ জানুয়ারি ভোরে তার পরবর্তী সহকর্মীরা তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে সকালে তারাকান্দি তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

কারখানার নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান (উপ-ব্যবস্থাপক) নূরুল আমিন শিকদার জানান, শহিদুল ইসলাম হার্টের রোগী ছিলেন। ২ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১টা-দেড়টার দিকে তার হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। যোহরের নামাজের পর কলোনিতে জানাযা নামাজ শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ নেই বলেও তিনি জানান।

এদিকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করলেও তারা বলছে, কারখানা কর্তৃপক্ষই নিজ দায়িত্বে লাশ বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। কেপিআই-১ মানের এ কারখানার উর্দ্ধতন পর্যায়ের কর্মকর্তার কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুতে ময়নাতদন্তের প্রয়োজন থাকলেও তা করা হয়নি। কারখানা ও কলোনিতে প্রবেশাধিকার সীমিত থাকায় তার পরিবারের সাথে গণমাধ্যমকর্মী বা কাউকে যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

এ ব্যাপারে তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, সকাল ৮টার দিকে কারখানার অভ্যন্তরে একজন কর্মকর্তার মৃত্যু সংবাদ দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করার সময়ই পরিবারের লোকজন লাশটি নিয়ে যায়। সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। অভিযোগ না থাকায় দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।