জামালপুরে নারী শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক

গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

চলমান আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে জামালপুরে ওয়ার্ল্ড ভিশনের এরিয়া প্রোগামের আওতায় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন।

সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হেসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদা ইয়াছমিন, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ শিবলী সাদিক, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুন্নাহার কনা, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ জলিল, জামালপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র (৩) সায়মা হামজা সিমি, ওয়ার্ল্ড ভিশনের কমিউনিকেশন, অ্যাডভোকেসি এন্ড এক্সাটারনাল এনগেজমেন্ট পরিচালক টনি গোমেজ, এরিয়া প্রোগ্রাম ক্লাস্টার ম্যানেজার রাজু উইলিয়াম রোজারিও, জামালপুর সদর উপজেলা এপি এরিয়া ম্যানেজার সাগর ডি কস্তা, উন্নয়ন সংঘের জেন্ডার এন্ড চাইল্ড ফোকাল মিনারা পারভীন, জামালপুর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহাবুব আনাম বাবলা, ব্র্যাক জেলা প্রতিনিধি মনির হোসেন খান, ছাত্রী প্রতিনিধি সুমাইয়া, ধর্মীয় ও শিক্ষক প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক নাজমুল হাসান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম।

প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, মাদক, বাল্যবিবাহ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহারসহ সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেছে। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, বর্তমান সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে ইতিমধ্যে অপরাধের মাত্রা কমতে শুরু করেছে। আশা করি সরকারি বেসরকারি সম্মিলিত উদ্যোগে নারী ও শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। এমন একটি সমযোপযোগী আয়োজনের জন্য ওয়ার্ল্ড ভিশনকে তিনি ধন্যবাদ জানান।

আলোচকগণ বিচারহীনতার সংস্কৃতি, অপসংস্কৃতি, নারীর প্রতি কুদৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনসহ প্রচলিত আইনের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ঘর থেকে প্রতিরোধ কার্যক্রম শুরু করার তাগিদ দেওয়া হয়।