দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১৩২২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ১৪৭২

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : গত ২৪ ঘন্টায় ১৩ হাজার ২২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৪৭২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ৯ হাজার ৪৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ১৯৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ শনাক্তের হার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ কম।

দেশে এ পর্যন্ত মোট ২০ লাখ ৮৪ হাজার ২২২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৭৩৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ২২ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৮ দশমিক ২৬ শতাংশ।

১২ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক চিকিৎসক নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৩১ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯১ জন।

আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৭৭ দশমিক ৪২ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ১ শতাংশ বেশি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকালের চেয়ে আজ ৭ জন বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ জন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ৫৫৫ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত ৭ অক্টোবর থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ২৮৩ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৫০৪ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৩ হাজার ৭৭৯টি নমুনা বেশি সংগ্রহ হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ১০৯টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩ হাজার ২২৭ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ৯ হাজার ৪৬৭ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ৩ হাজার ৭৬০টি বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ২২২৯ দশমিক ৭৩ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ১৭২৮ দশমিক ৬০ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৩২ দশমিক ৬২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ৩১ জনের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন, আর নারী ১২ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৪ হাজার ২৭৫ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ২৮০ জন। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ৩১ জনই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১৭ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২৭ জন; যা দশমিক ৪৯ শতংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৪৫ জন; যা দশমিক ৮১ শতাংশ। ২১ থেকে ৩১ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১২৫ জন; যা ২ দশমিক ২৫ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩১০ জন; যা ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৭০১ জন; যা ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৪৮৯ জন; যা ২৬ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ২ হাজার ৮৫৮ জন; যা ৫১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪ জন, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ ২ জন করে, রংপুর বিভাগে মৃত্যুবরণ করেছেন ১ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ২ হাজার ৮২৯ জন; যা ৫০ দশমিক ৯৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ১১৭ জন; যা ২০ দশমিক ১১ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৩৫৯ জন; যা ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৪৪৯ জন; যা ৮ দশমিক ০৮ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ১৯৩ জন; যা ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৩৮ জন; যা ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ২৫২ জন; যা ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১১৮ জন; যা ২ দশমিক ১২ শতাংশ।