চার্জে দিয়ে ফোনসেটে ইন্টারনেটে মগ্ন যুবকের বজ্রপাতে মৃত্যু নাওভাঙ্গা চরে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির সময় নিজের অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট চার্জে দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে মগ্ন ছিল দরিদ্র রাজমিস্ত্রি রাব্বী (১৭) নামের এক যুবক। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে কেড়ে নিয়েছে তার প্রাণ। ১ অক্টোবর বিকেলে জামালপুর শহরের ব্রহ্মপুত্র নদের নাওভাঙ্গা চরের নিজ বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। সে স্থানীয় দরিদ্র মো. ফজলুল হকের ছেলে।

একই সময় ব্রহ্মপুত্র নদের জঙ্গলদি চরে ক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত কৃষক ওয়াজিদকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রাব্বীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১ অক্টোবর বেলা ৩টার দিকে জামালপুর শহরে মুষলধারে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় শহরের ব্রহ্মপুত্র নদের নাওভাঙ্গা চরের দরিদ্র রাজমিস্ত্রি রাব্বী নিজ ঘরে তার অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট চার্জে দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করছিল। বেলা সোয়া ৩টার দিকে আকস্মিক তাদের ঘরের ওপর বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতের তীব্রতায় রাব্বী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত জামালপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বজ্রপাতে রাব্বীর মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।

অপরদিকে একই সময়ে ব্রহ্মপুত্র চরের জঙ্গলদি এলাকায় নিজেদের ক্ষেতে বৃষ্টিতে ভিজে কৃষিকাজ করার সময় বজ্রপাতে ওয়াজিদ (৩০) নামের এক কৃষক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় মো. বাদশার ছেলে তিনি।

জামালপুর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, বজ্রপাতে গুরুতর আহত যুবক রাব্বীকে হাসপাতালে আনার পথেই হয়তো মারা গেছে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। বজ্রপাতে গুরুতর আহত কৃষক ওয়াজিদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।