জামালপুরে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ৫১, করোনায় আরও মৃত্যু ১

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে ১০ আগস্ট একদিনে নতুন করে গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যক মোট ৫১ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত এক ব্যক্তির নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। জামালপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্রটি জানায়, জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১০ আগস্ট জামালপুর জেলার ১৭৭টি নমুনা পরীক্ষায় জেলায় নতুন করে সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যক মোট ৫১ জন করোনার রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে জামালপুর সদর উপজেলায় ৩২ জন, বকশীগঞ্জে ১০ জন, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জে রয়েছেন দু’জন করে এবং সরিষাবাড়ীতে রয়েছেন একজন। তাদের মধ্যে ৩৫ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী, একজন কিশোরী ও এক শিশু রয়েছে।

পিসিআর ল্যাবে ১০ আগস্ট করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে জামালপুর শহরের মিয়াপাড়া এলাকায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আগের দিন ৯ আগস্ট মৃত্যুবরণকারী ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবীরেরও (৫২) করোনা পজিটিভ ফল আসে। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করলেন ১৮ জন। এছাড়া ১০ আগস্ট নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে পাওয়ার-প্যাক মুতিয়ারা জামালপুর পাওয়ার প্লান্টের ১২ জন কর্মচারী, সরকারি-বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও শিক্ষক, বিজিবি সদস্য, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, গৃহিনী, একই পরিবারের বউ, শাশুড়ি ও নাতনি, একই এলাকার একাধিক ব্যক্তি, ছাত্র-ছাত্রী, কিশোরী, শিশুসহ সাধারণ শ্রেণির মানুষ রয়েছেন।

নতুন করে সংক্রমিত এলাকাগুলো হলো জামালপুর সদরের রনরামপুর ও চরপাড়া, জামালপুর পৌরসভা এলাকার মুকুন্দবাড়ী, দেওয়ানপাড়া, শেখেরভিটা, বসাকপাড়া, পশ্চিম নয়াপাড়া, মিয়াপাড়া, পাথালিয়া, বাগানবাড়ি, ফিশারিমোড় ও কাছারিপাড়া, ইসলামপুরের দড়িয়াবাদ ও কাছিহারা গ্রাম, বকশীগঞ্জের মালিরচর, বাসস্ট্যান্ড এলাকা, মধ্যবাজার ও চরকাউরিয়া মাঝপাড়া, মেলান্দহের পাঁচপয়লা, মাদারগঞ্জের ফাজিলপুর, দেওয়ানগঞ্জের গামারিয়া ও খড়মা এবং সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা এলাকায় করোনার রোগী শনাক্ত হয়েছে।

জামালপুরের সিভিল সার্জন চিকিৎসক প্রণয় কান্তি দাস এ প্রতিবেদককে জানান, ১০ আগস্ট নতুন করে শনাক্ত ব্যক্তিরাসহ এ পর্যন্ত জামালপুর জেলায় করোনার রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১০৮৪ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭৯২ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮ জন। বর্তমানে হাসপাতালে এবং হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৭৪ জন।