সংবাদ প্রকাশের জেরে শেরপুরে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

সাংবাদিকদের জরুরি সভা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

সংবাদ প্রকাশের জের ধরে শেরপুরে তিনজন গণমাধ্যমকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন নকলা প্রেসক্লাবের কর্মকর্তারা। ওই গণমাধ্যমকর্মীরা হলেন নাসির উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন সরকার বাবু ও খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টু। আর মানহানির অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে সিআর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন উপজেলার টালকী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন আকন্দ। এর প্রতিবাদে ২৪ জুলাই রাতে নকলা শাহরিয়া ফাজিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে এক জরুরি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদসহ তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়।

নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ও মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও কলামিস্ট সাংবাদিক তালাত মাহমুদ। এছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- নকলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সরকার বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সেলিম রেজা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রফিক, দপ্তর সম্পাদক মমিনুল ইসলাম সুমন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক নূর হোসাইন, সদস্য মাহবুবর রহমান, মিজানুর রহমান, মোশারফ হোসাইন ও দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনসহ জেলা-উপজেলায় মানববন্ধন করা হবে। এছাড়া আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। মামলায় যেসকল গণমাধ্যমকর্মীর সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে, প্রয়োজনে তারা বেলায়েত হোসেন আকন্দের বিরুদ্ধে কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করবেন।

মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, বাদী তার মামলার আরজিতে উল্লেখ করেছেন আমরা খারাপ প্রকৃতির লোক, আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে তাকে ব্লাকমেইল করি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

তারা আরও বলেন, সরকারের ১০ টাকা কেজি দরের চাল মাঠ পর্যায়ে ডিলাররা বিতরণে অনিয়ম করেছেন। এ সংক্রান্ত সংবাদ ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই করা হয়েছে। খবরটি তথ্য নির্ভর ও প্রমাণাদি তাদের কাছে রয়েছে।

আর এ সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বেলায়েত হোসেন আকন্দের ভাতিজা (বড় ভাইয়ের ছেলে) ফরিদ মিয়ার ডিলারশীপ লাইসেন্স বাতিল করাসহ তার জামানত বাজেয়াপ্ত করে।