বন্যায় দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় তীব্র স্রোতে পায়ে হেঁটে যাচ্ছে পথচারী। ছবিটি ১৫ জুলাই দুপুরে তোলা হয়েছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ থেকে
বাংলারচিঠিডটকম

কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বন্যার পরিস্থিতি চরম অবনতি রয়েছে।

১৫ জুলাই দুপুরে যমুনার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে পানি পরিমাপক আব্দুল মান্নান জানান, যমুনার পানি ২৪ ঘন্টায় ১৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবৃদ্ধি থাকায় উপজেলার পৌরসভাসহ ৮টি ইউনিয়নের দেড়লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে বন্যার পানির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। আন্তঃনগর তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র ট্রেন ইসলামপুর পর্যন্ত চলাচল করবে বলে নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার আব্দুল বাতেন।

অপরদিকে দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী সড়কে কান্দিরগ্রাম ও গুলোরঘাট পানির স্রোত বয়ে যাওয়ায় সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় উপজেলার সাথে কুড়িগ্রাম জেলা রাজিবপুর মানুষের যানবাহন যাতায়াতে বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বন্যার পানিতে প্লাবিত চর মাগুরীহাট এলাকার বসতবাড়ি। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

১৫ জুলাই সরেজমিনে উপজেলার চিকাজানী চুকাইবাড়ী, পৌরসভা ও বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের প্লাবিত এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে বন্যার্ত মানুষের চরম দুর্ভোগ। বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবার সংকটে রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রেলস্টেশন উঁচু সড়কে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার বানভাসি মানুষ।

উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এনামুল হাসান জানিয়েছেন, বন্যার্তদের জন্য ৩৭ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৯৮ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া জানান, বন্যা মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। বানবাসি মানুষের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম করা হয়েছে। ৮টি ইউনিয়নসহ পৌরসভায় বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বন্যার্ত মানুষদেরকে ৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। তাদের মাঝে খাবার বিতরণ ও ত্রাণ, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।