ইসলামপুরে বন্যার আরও অবনতি

চিনাডুলি এস এন উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যার পানি। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে জামালপুর বাহাদুরবাদ ঘাট পয়েন্ট এলাকায় ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার পানি দ্রুত বেড়েই চলেছে। এতে চিনাডুলি ইউপির দক্ষিণ চিনাডুলি, দেওয়ানপাড়া, ডেবরাইপ্যাচ, বলিয়াদহ, পশ্চিম বামনা, বেলগাছা ইউপির কছিমার চর, দেলীপাড়, গুঠাইল, সাপধরী ইউপির আকন্দপাড়া, পূর্ব চেঙ্গানিয়ার, পার্থশী ইউনিয়নের মোজাআটা, জারুলতলা এবং নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের কাজলা, কাঠমা, মাইজবাড়ী বন্যার পানি প্রবেশ করে পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে।

পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বাড়ছে দ্রুত গতিতে। ফসলের ক্ষেত, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। ইসলামপুরের উলিয়া সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ।

সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, এই ইউনিয়নের নতুন চরাঞ্চলে আষাঢ় মাসেই বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। প্রজাপতি, চরশিশুয়া, চরনন্দনের পাড়া, আমতলি, কাশারীডোবা, কটাপুর, ইন্দুল্যামারী, আকন্দপাড়া, কোদাল ধোয়া, মন্ডলপাড়া, বিশরশি ও চেঙ্গানিয়ায় অসংখ্য কৃষকের পাট ও আউশ ধান ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এসব চরাঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার বাড়িঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এর মধ্যেই বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

ইসলামপুরের বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, এ বছরের আগাম বন্যায় যমুনার বুকে জেগে ওঠা খোলাবাড়ী, বরুল, মন্নিয়া ও বেলগাছায় কৃষকের পাট ও ধান ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সবাইকে নিয়ে বন্যা মোকাবিলায় কাজ করা হবে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী এসএম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল জানান, যমুনায় খুব দ্রুত গতিতে পানি বাড়ছে। সেই সঙ্গে ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদীর পানিও বাড়ছে। বন্যা মোকাবিলায় উপজেলা পরিষদ প্রস্তুত রয়েছে।