জামালপুর সদরে অ্যাপসে লটারিজয়ী হলেন ৩৪৮৫ জন বোরোচাষী

বোরো ধান ক্রয়ের জন্য অ্যাপসে কৃষক নির্বাচনের লটারি প্রক্রিয়া অংশ নেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন ও সদরের ইউএনও ফরিদা ইয়াছমিন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

চলতি বোরো মওসুমে প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতে স্বচ্ছতার জন্য জামাালপুর সদর উপজেলায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে অ্যাপসের মাধ্যমে কৃষক বাছাইয়ের লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ মে দুপুরে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে সদর ইউএনও কার্যালয়ে এ লটারি অনুষ্ঠিত হয়। লটারিতে সদর উপজেলায় এবার ধান ক্রয়ের জন্য তিন হাজার ৪৮৫ জন কৃষক নির্বাচিত হয়েছেন।

সূত্র জানায়, প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান ক্রয়ের জন্য এবার ৪৩ হাজার ২৭৪ জন কৃষক অনলাইনে অ্যাপসে নিবন্ধন করেন। তাদের মধ্যে অনুমোদন পাওয়া নিবন্ধিত কৃষকের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ১৫৭ জন। এ বছর জামালপুর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে চার হাজার ৫২০ টন বোরো ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

১৯ মে দুপুরে জামালপুর সদর ইউএনও কার্যালয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অ্যাপসে ক্লিক করে অনুষ্ঠিত লটারিতে তিন হাজার ৪৮৫ জন কৃষককে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ক্ষুদ্র কৃষক নির্বাচিত হয়েছেন দুই হাজার ২৬২ জন, মাঝারি কৃষক ৮৪৭ জন এবং বড় কৃষক নির্বাচিত হয়েছেন ৩৭৬ জন।

জামালপুর সদর উপজেলা ধান-চাল সংগ্রহ কমিটির সভাপতি সদরের ইউএনও ফরিদা ইয়াছমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত লটারি কার্যক্রম সম্পন্ন করার সময় অন্যান্যের মধ্যে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন, জামালপুর সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস আহমেদ, সিংহজানী খাদ্য গুদামের সংরক্ষণ ও পরিচালন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

জামালপুর সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস আহমেদ এ প্রতিবেদককে জানান, লটারিতে নির্বাচিত কৃষকদের প্রত্যেককে খাদ্যগুদামে ধান দেওয়ার জন্য তাদের বরাদ্দের অফিস আদেশের খুদে বার্তা পাঠানো হবে মোবাইল ফোনে। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে ব্যাংক হিসাব খুলতে বলা হবে। নির্বাচিত কৃষকদের নামের তালিকা এবং তাদের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ খাদ্যগুদামে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেওয়া হবে।

জামালপুর সদরের ইউএনও ফরিদা ইয়াছমিন এ প্রসঙ্গে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘সরকারিভাবে বোরো ধান ক্রয়ের জন্য আজকে লটারিতে কৃষক বাছাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় শুরু করা হবে। লটারিতে কৃষক বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও ধান ক্রয়ের সময় কোনো কৃষকের লটারির টিকিট যাতে অন্য কোন মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে না যায়, এই বিষয়টিসহ সরকারি ধান সংগ্রহ অভিযান সফল করতে বাছাইকৃত কৃষকদের সুবিধার্থে পুরো বিষয়টি স্বচ্ছতার সাথে কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।’