করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেওয়ানগঞ্জের হাটের ইজাদাররা চান ক্ষতিপূরণ

সানন্দবাড়ী হাট ইজারাদার রেজাউল করিম লাভলুর উদ্যোগে হাট ইজারাদার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বোরহানউদ্দিন, সানন্দবাড়ী প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন চলায় জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের ইজারাদারগণের প্রতিহাটে লোকসান হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে সানন্দবাড়ী হাট ইজারাদার রেজাউল করিম লাভলুর উদ্যোগে সানন্দবাড়ী হাট ইজারাদার কার্যালয়ে ১২ মে বিকালে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

ডাংধরা ইউনিয়নের কাউনিয়ারচর হাট ইজারাদার সামছুল হক, পাররামরামপুর ইউনিয়নের তারাটিয়া হাট ইজারাদার আতাউর রহমান ও বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের ঝালুর চর হাট ইজারাদার ইসতাহ আলোচনা সভায় যোগদান করেন।

সানন্দবাড়ী হাট ইজারাদার রেজাউল করিম লাভলু বলেন, ২৬ মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন চলায় সানন্দবাড়ী হাটের কাঁচা বাজার ছাড়া সমস্ত হাট বাজার বন্ধ রয়েছে। এতে বছরে ১০৪ হাটের জন্য ১ কোটি টাকা দিয়ে সরকারের কাছ থেকে ইজারা নেয়া হয়। হাটের একটা বড় রাজস্ব আয় হয় পশু হাট থেকে। করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন চলায় কাঁচাবাজার ছাড়া পশু হাটসহ অন্যান্য হাট বাজার বন্ধ রয়েছে। এতে আমার প্রতি হাটে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার মত লোকসান হচ্ছে। লোকসান কাটিয়ে উঠার জন্য সরকার কোন ব্যবস্থা নেয়নি বা বলেনি। এ ব্যাপারে লোকসান কাটিয়ে উঠার জন্য সরকারের আশু ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।

কাউনিয়রচর হাট ইজারাদার সামছুল হক বলেন, ৩০ লাখ টাকা দিয়ে হাট ইজারা নিয়ে করোনাভাইরাসের কারণে বিরাট লোকসান হচ্ছে। হাটের আয়ের বড় অংশ হল পশু হাট। যা করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে। এলোমেলো অবস্থায় হাটের কোনো আয় নেই। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য দাবি জানান তিনি।

তারাটিয়া হাট ইজারাদার আতাউর রহমান জানান, ৩০ লাখ টাকা দিয়ে হাট ইজারা নিয়ে করোনাভাইরাসের কারণে হাটের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠার জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আশা করেন এ মহামারী থেকে কাটিয়ে উঠে দেশের বিভিন্ন হাট ইজারাদারদের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা করবেন।