প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সামগ্রী চান শেরপুরের আদিবাসীরা

আদিবাসীদের সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

করোনাভাইরাসের কারণে ঘরে বসে থাকা অদিবাসীরা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ত্রাণ সামগ্রী পায়নি। এমনকি এ পর্যন্ত কোন প্রকার সরকারি সহায়তা আদিবাসীরা পাচ্ছেনা। এখানকার অধিকাংশ আদিবাসী পরিবারগুলো দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন। কথাগুলো বলছিলেন, শেরপুরের নালিতাবাড়ী ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মি. লুইস নেংমিনজা। তিনি আদিবাসীদের জন্য সরকারি সহায়তা পাওয়ার দাবি জানান।

ঝিনাইগাতীর স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অবিনাশ সাংমা বলেন, জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীর আদিবাসীরা এখন পর্যন্ত সরকারি কোন সহযোগীতা পায়নি। আদিবাসী অধ্যুষীত এ তিন উপজেলায় প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষের বাস। এ অঞ্চলে বেসরকারি উদ্যোগে যে সহায়তা পাওয়া গেছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম।

নালিতাবাড়ী বারমারী ক্যাথলিক প্যারিস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক মি. জন মাংসাং, গ্রাম মাতব্বর রবিন রাকসাম, সুবল ম্রং ও পিন্টু নেংমিনজা বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে পোড়াগাঁও, সমেশ্চুড়া, খলচান্দা ও ডালুকোনায় গারো, কোচ ও হাজংদের মাঝে ৪ এপ্রিল বিকালে মাস্ক, সাবানও সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়েছে।

বারমারী খ্রিস্টান ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত রেভারেন্ট ফাদার মনিন্দ্র মাইকেল চিরান বলেন, খ্রিস্টান মিশন, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ও কারিতাস ময়মনসিংহ অঞ্চলের নিজস্ব অর্থায়নে স্থানীয়দের মাঝে ১৭০টি মাস্ক, ২৫০টি সাবান এবং সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবক অলি জেংচাম, লোপা জেংচাম, পুজা মাংসাং, রিতু চাম্বুগং ও দিব্য চাম্বুগং বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আক্রমণে মরণ ছোঁবল সম্পর্কে আদিবাসী সম্প্রদায়ের কোন ধারণাই নেই। তাই তাদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মাস্ক পরিধান করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং অধিক সুরক্ষার জন্য নিজবাড়িতে অবস্থান করা সম্পর্কে ধারণা দিতে আমরা স্বউদ্যোগে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।

এ সম্পর্কে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় আদিবাসী নেতৃবৃন্দের সাথে কথা হয়েছে। এছাড়া আদিবাসী অধ্যুষীত এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে ওইসব এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারপত্র এবং প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে যদি কেউ এসব সুবিধার আওতার বাইরে থেকে থাকে তাহলে বিষয়টি মনিটরিং করা হবে বলে তিনি জানান।