নকলায় সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

সরিষার ক্ষেত। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে শেরপুরের নকলা উপজেলার কৃষকদের। যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। দূর থেকে দেখলে মনেই হবে না যে, সরিষার চাষ। এ যেন প্রকৃতির ঢেলে দেওয়া হলুদের সমারোহ। বাড়তি ফসল হিসেবে কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে সরিষা আবাদে আগ্রহ বৃদ্ধি করতে চাষীদের দেওয়া হচ্ছে প্রণোদনা ও নিয়মিত পরামর্শ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর ১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর চাষ হয়েছে ১৬ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। নকলা উপজেলার কৃষকরা স্থানীয় জাতের পাশাপাশি বারি সরিষা-১৪ ও ১৫, ১৭, বিনা-৯, ৪ ও ১১, টরি-৭ সরিষার আবাদ করে লাভের মুখ দেখছেন। নভেম্বর মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সরিষা চাষের উপযুক্ত সময়। তাই এই সময় সরিষার ফুলে ভরে গেছে মাঠ। সরিষা চাষে বাম্পার ফলন পেয়ে কৃষকরাও বেশ খুশি।

সরিষার ক্ষেত। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

স্থানীয় কৃষকরা জানান, গত কয়েক বছর ধরেই ধান চাষে তেমন লাভ হয় না। আর এ কারণেই প্রতি বছরই লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই বিকল্প ফসল হিসেবে অন্য ফসলের পাশাপাশি সরিষা চাষের প্রতি আগ্রহী হয়েছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র্র দাস জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে নিয়মতি প্রণোদনা। আর কৃষকদের সবসময় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে সহযোগিতা। চলতি মৌসুমে জেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার আবাদ থেকে বাড়তি মুনাফা আয় করতে পারবেন এই অঞ্চলের কৃষকরা।