ইসলামপুরের প্রতিবন্ধী দুই ভাইবোন পেল হুইল চেয়ার

হুইল চেয়ারদাতাদের সাথে দুই ভাই-বোন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার শারীরিক প্রতিবন্ধী দুই ভাইবোনকে হুইল চেয়ার বিতরণ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লাইফগার্ড। ২৬ সেপ্টেম্বর বিকালে উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের লাউদত্ত আকন্দবাড়িতে আরমান (১১) ও পরশমনিকে (৯) এই হুইল চেয়ার বিতরণ করেন সংগঠনটির কর্মীরা। এতে করে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারবে শারীরিক প্রতিবন্ধী আরমান ও পরশমনি।

হুইল চেয়ার বিতরণের সময় লাইফগার্ড সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. বদরুল ইসলাম আকন্দ, সদস্য রুহুল আমিন, ইমন খান উজ্জ্বল, মো. মিজান আবু সাঈদ সরকার ও মো. আলআমিন উপস্থিত ছিলেন।

আরমান (১১) বুলবুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্র এবং পরশমনি (৯) একই বিদালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্রী।

শারীরিক প্রতিবন্ধী আরমান জানায়, স্কুলে যাতায়াতে অনেক কষ্ট হতো তাদের। দুই পায়ের গোড়ালি ও হাঁটুতে ব্যথা হতো। ইচ্ছা হলেই কোনো জায়গায় যেতে পারতো না তারা। এখন থেকে ভালোভাবে চলাচল করতে পারবে তারা।

আরমান ও পরশমনির বাবা রাজমিস্ত্রী মোবারক জানান, তাদের দুই সন্তান জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি তারা। অনেক জনপ্রতিনিধিদের কাছে যাওয়া হলেও কোনো সহায়তা পাননি তারা। এমনকি প্রতিবন্ধী ভাতা পায় না তারা। সমাজসেবার আওতায় পড়ালেখার খরচ পায় তারা। দিনমজুর থাকায় জীবিকা নির্বাহেই ব্যস্ত থাকেন তিনি। এখন লাইফগার্ডের সহায়তায় তার সন্তানেরা ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারবে তারা। এভাবে সমাজের বিত্তশালীরা এগিয়ে আসলে তার সন্তানেরা চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে।

আরমান ও পরশমনির মা কুলছুম জানা, তার সন্তানেরা অনেক কষ্টে চলাচল করে। মাটির সাথে হাঁটু গেরে চলাচল করায় হাঁটুতে ক্ষত হয়ে গেছে দুইজনের। কেউ তাদের সহায়তা করেনি। লাইফগার্ডের সহায়তায় এখন তার সন্তানেরা আরামে চলাচল করতে পারবে। লাইফগার্ডের মতো সকল সংগঠনের সহযোগিতা চান তিনি।

লাইফগার্ডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. বদরুল ইসলাম আকন্দ জানান, লাইফগার্ড শুধু সংগঠন নয়, এটি একটি পরিবার। এই পরিবারের সকল সদস্যের সহযোগিতায় এই পর্যন্ত ১০টি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এরা সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সকলের আর্থিক সহযোগিতায় অসহায়দের সাহায্য করা হয়। এভাবে সমাজের সকলেই এগিয়ে আসলে হতদরিদ্র অসহায়রা উপকৃত হবে।