মেলান্দহে প্রাথমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ১১তম ও প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মো. মুত্তাছিম বিল্লাহ্, মেলান্দহ সংবাদদাতা
বাংলারচিঠিডটকম

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবিতে জামালপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি ও স্মারকলিপি পেশ করেছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মেলান্দহ উপজেলা শাখার শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ, যুগ্ম সম্পাদক মো. হাবিবুল্লাহ, মেলান্দহ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আহবায়ক মাহবুবুর রহমান, সদস্য সচিব আহসান মনির, বাগবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে আজাদ, পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকিয়া ইয়াসমিন, টুপকারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল করিম লিচু, সাধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিনহাজ উদ্দিন, কাজাইকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খলিলুর রহমান প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এ দেশের সবচে প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ পেশাজীবী সংগঠন। ১৯৭৩ সালে এ সংগঠনের অনুরোধে ও দাবির প্রেক্ষিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে ৩৭ হাজার ৬৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষকগণকে সরকারি চাকরির মর্যদা দেন।

বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির দাবির প্রেক্ষিতে ৯ মার্চ ২০১৪ সালে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহে প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল একধাপ উন্নীত করেন।

শিক্ষকরা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ওই সময় সহকারী শিক্ষকদের বেতন আরো বৃদ্ধি করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদাসহ ১০ম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল বৃদ্ধির সেই প্রতিশ্রুতি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তাই তারা সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবি জানান। মানববন্ধন শেষে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।