রওশন বিরোধীদলীয় নেতা, জিএম কাদের জাপা চেয়ারম্যান

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতার পদ নিয়ে চলমান সংকটের সমাধান হয়েছে। রওশন এরশাদ হচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেতা আর জিএম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।

এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনে কে প্রার্থী হবেন, সে বিষয়ে পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।

৭ সেপ্টেম্বর রাতে বারিধারার কসমোপলিটন ক্লাবে রওশন ও জিএম কাদেরপন্থি নেতাদের বৈঠকে এ সমঝোতা হয়। ৮ সেপ্টেম্বর দলের বনানীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা সেই সিদ্ধান্ত জানান।

তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমাদের যে বিষয়টি ছিল, সেটি হলো চেয়ারম্যানের দায়িত্ব কে পালন করবেন। এটি নিয়ে একটি বিতর্ক ছিল। সেটি কাল সমাধান হয়ে গেছে। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যন এবং হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্দেশিত যিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ানম্যান, জিএম কাদের সাহেব দলের দায়িত্ব পালন করবেন চেয়ারম্যান হিসেবে। এবং বেগম রওশন এরশাদ, যিনি আমাদের চেয়ারম্যানের পত্নী, তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করবেন।’

রাঙ্গা বলেন, ‘আরেকটি বিষয় এসেছিল, রংপুরের উপনির্বাচন নিয়ে। সেখানে সাদ এরশাদের (এরশাদের ছেলে) পক্ষে প্রস্তাব রাখা হয়েছিল, বিপক্ষেও কথা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, মহাসচিব ও চেয়ারম্যান বসে রংপুরের বিষয়টি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন- প্রার্থী কে হবে। আজ বা কালকের মধ্যে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব। তখন জানতে পারবেন।’

গত এক সপ্তাহ ধরে জাপার চেয়ারম্যান ও সংদের বিরোধীদলীয় নেতা হওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয় জিএম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে। এরই জেরে ৫ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে জাপার একাংশ রওশন এরশাদকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করে।

পরবর্তী সময়ে ওইদিনই সংবাদ সম্মেলন ডেকে জিএম কাদের বলেন, ‘রওশন এরশাদকে সম্মান করি, যতটুকু শুনেছি, তিনি নিজে থেকে নিজের কথা বলেননি। শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে অস্থির হওয়ার কিছু নেই। জাপা ভাঙেনি। কোনোওভাঙনের মুখে পড়েনি। যে কোনো ব্যক্তি যেকোনও ঘোষণা দিলেই তো তা বাস্তবায়িত হয় না।’

এর আগে, ৩ সেপ্টেম্বর বিকালে দলীয় প্যাডে নিজেকে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদে নিয়োগ দিতে স্পিকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেন জিএম কাদের। এর পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর জিএম কাদেরের চিঠির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা গ্রহণ না করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন রওশন এরশাদ। এরই মধ্যে দিয়ে মূলত জাপায় গৃহবিবাদ শুরু হয়।