নৌকাডুবি : উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত, ৬ জন নিখোঁজ, জীবিত উদ্ধার ২৪

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় যমুনা নদীতে ৭ আগস্ট রাতে ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রীদের উদ্ধার অভিযান শেষে ৮ আগস্ট সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই নৌকায় ৩০ জন যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ছয়জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা সবাই উপজেলার চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের যমুনার দুর্গম চরহলকা হাউড়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।

জামালপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা মো. নূরুদ্দিন অলি বাংলারচিঠিডটকমকে জানান, ৮ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টার দিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার নির্দেশে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ৭ আগস্ট মাঝরাত পর্যন্ত এবং ৮ আগস্ট ভোর থেকে সারাদিন চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের ফুটানি বাজার ঘাট থেকে যমুনার নদীর প্রায় ২৫-৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। প্রাথমিকভাবে ডুবে যাওয়া ওই নৌকায় মাঝিসহ ২৮ জন যাত্রী থাকার কথা শোনা গেলেও অভিযান শেষে দেখা যাচ্ছে ডুবে যাওয়া নৌকায় মোট যাত্রী ছিল ৩০ জন। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের অভিযানে ২৩ জন এবং মমতা খাতুন (৮) নামের এক মেয়েকে বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। তাদের সবার বাড়ি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের যমুনার দুর্গম চরহলকা হাউড়াবাড়ি গ্রামে।

মো. নূরুদ্দিন অলি আরো জানান, চরহলকা হাউড়াবাড়ী গ্রামের লোকজন এবং উদ্ধার হওয়া লোকজনরা নৌকাডুবিতে আরো ছয়জন নিখোঁজ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাদের বাড়িও একই গ্রামে। নিখোঁজ ছয়জন হলেন- মৃত শখমান আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান (৬৫), তৈয়ব আলী শেখের ছেলে দুলাল শেখ (২৫), দিলবার শিকদারের ছেলে শহীদুর রহমান (৪০), ফজলুল হকের স্ত্রী কাঞ্চন বালা (৫৫), ছোকমান আলীর স্ত্রী ওছিয়ত বেগম (৬৫) ও মৃত মজিবর রহমানের স্ত্রী রেজিয়া বেগম (৩৫)।

প্রসঙ্গত, ৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের ফুটানি বাজার ঘাট থেকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে একই ইউনিয়নের যমুনার পশ্চিমপাড়ের চরহলকা হাউড়াবাড়ী গ্রামে যাচ্ছিল নৌকাটি। যাত্রীরা সবাই ওই গ্রামের বাসিন্দা এবং তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছিলেন যারা ঘটনার দিন বিকেলে চুকাইবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিএফ চাল উত্তোলন করে একই নৌকায় বাড়িতে ফিরছিলেন। নদীর মাঝামাঝি টিনের চরের ভেড়াখাওয়া মাথা নামক স্থানে নৌকাটি আকস্মিক ডুবে যায়।